বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে বোরহানউদ্দিন সরকারি হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত ভোলা-২ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহীমের গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তারা এই যোগদান কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। তাদের হাতে ফুল দিয়ে বিএনপিতে স্বাগত জানানো হয় এবং ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করেন হাফিজ ইব্রাহীম।
এর আগে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক কাজী শহীদুল ইসলাম নাসিম মাইকে ঘোষণা দেন যে, এখন জামায়াতের ৩০ নেতাকর্মীকে ধানের শীষের প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহীম ফুল দিয়ে বরণ করবেন।
যোগদানকৃত নেতাকর্মীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন—
ছাগলা ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা আবুল ফয়েজ মো. আবদুল্যাহ, উপজেলা জামায়েতের যুগ্ম-আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন, হাফেজ মো. আলমগীর, হাফেজ মো. আব্দুল করিম, মো. নুরে আলম দালাল, মো. আব্দুল খালেক, মো. রাসেদ, মো. মাহে আলম, মো. কবির, মো. নুরে আলম মাঝি, মো. ইউসুফ হাওলাদার, মো. আকবর হোসেন, মো. নাছের, মো. হাসেম, হাজী আব্দুর রহিম, হানিফ হাওলাদার। বাকিদের নাম ও পদবী পাওয়া যায়নি।
যোগদানকৃতদের বহু দাবি অনুযায়ী জামায়াতের নেতাকর্মী, তবে অনেকের দলীয় পদ-পদবি উল্লেখ করা হয়নি। তাদের সব বাড়ি উপজেলাভিত্তিক বিভিন্ন ইউনিয়নে।
ভোলা-২ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহীম বলেন, বিএনপির কার্যক্রমে আস্থা রেখে এবং গণতন্ত্রের পক্ষে থাকার প্রত্যয়ে তারা বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। আজকে জামায়াতে ইসলামী থেকে যে ভাইয়েরা বিএনপিতে যোগদান করেছেন তাদের সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তের জন্য ধন্যবাদ জানাই।
যোগদানকারীরা বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন জামায়াতের রাজনীতি করেছি। এখন সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিমের নেতৃত্বে বাকি জীবন বিএনপির রাজনীতি করতে চাই।’
তবে এ ঘটনা জানাজানির পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বোরহানউদ্দিন উপজেলা আমীর মো. মাকসুদুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে যোগদানকারীরা ‘জামায়েতের জনশক্তি’ নয় বলে দাবি করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



