ইউনিভার্সিটি অফ সাউর্দান ডেনমার্কের প্রকৌশলীরা এমন একটি উদ্ভাবনী প্রযুক্তি তৈরি করেছেন যা একটি ড্রোনকে সক্ষম করবে যেনো তা সবসময় আকাশে উড়ে বেড়াতে পারে। ডকিং মেকানিজম ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দুর্দান্ত প্রয়োগ করা হয়েছে এখানে।
আপনি এটিকে বৈদ্যুতিক ভ্যাম্পায়ার হিসেবে আখ্যায়িত করতে পারেন। কারণ কোন ধরনের চার্জ ব্যতীত এটি আকাশে উড়তে পারে অনেকক্ষণ। যখন এটির চার্জ এর প্রয়োজন হবে তখনই এটি বৈদ্যুতিক তারকে আকড়ে ধরবে এবং ইলেক্ট্রিসিটি সংগ্রহ করতে পারবে।
এসব ড্রোন বৈদ্যুতিক তারে বসে থাকতে সক্ষম হবে। এটি সম্পূর্ণ সায়ত্ত্বশাসিত সিস্টেমে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে সক্ষম হবে। ড্রোনটিকে চার্জ করার জন্য পাওয়ার লাইন ব্যবহার করার ধারণাটি ২০১৭ সালে উদ্ভাবন করা হয়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এ সিস্টেমে পাওয়ার লাইনকে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রাখেন। গবেষকরা প্রথমে বোঝার চেষ্টা করেছেন কীভাবে এসব ড্রোন পাওয়ার লাইনের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করবে। পরীক্ষার সময় একজন দক্ষ পাইলট পাশে ছিলেন যিনি ড্রোনটির নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হন।
তাদের খুঁজে বের করতে হয়েছিল কীভাবে ড্রোনটি নিরাপদে বৈদ্যুতিক তারের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারে। এ সিস্টেমে গ্রিপার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যেন তা সহজে বৈদ্যুতিক লাইনকে নিরাপদে আঁকড়ে ধরতে পারে।
ড্রোনের ব্যাটারি চার্জ করার জন্য কারেন্ট ব্যবহার করা হয়। বৈদ্যুতিক লাইনে ড্রোনটিকে ৩০ মিনিট থেকে ৬ ঘন্টা পর্যন্ত চার্জ নিতে হয়। সিস্টেমের অপটিমাইজেশন ও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ড্রোনটি কিভাবে নিজেকে পরিচালিত করবে সেটি এখন গবেষণা বিষয়।
ডেনিস ইঞ্জিনিয়াররা মনে করেন যে, এ ভ্যাম্পায়ার ড্রোন মানবজাতিকে সেবা করার জন্য একটি বড় সুযোগ। এটি গ্লোবাল পাওয়ার নেটওয়ার্ক লাইনের মতোই গুরুত্বপূর্ণ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।