শরতের এই বৃষ্টিমুখর আবহাওয়ায় অনেকেই বেরিয়ে পড়েছেন ঘুরতে। আবার অনেকে প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভ্রমণের। ঘুরতে যাওয়ার আগে অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না, কোন পোশাকটি হবে সময় উপযোগী ও ট্রেন্ডি। আবার সঙ্গে থাকতে হবে অন্যান্য প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গও। তাই সারা দিন ঘোরাঘুরি, এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার জন্য প্রয়োজন আবহাওয়া উপযোগী আরামদায়ক পোশাক ও অনুষঙ্গ।
সমুদ্রভ্রমণ মানেই মন ভালো করা একরাশ ফুরফুরে হাওয়া। তাই পোশাকের আমেজটা ঢিলেঢালা হলে ভালো। এই আবহাওয়ায় ফ্যাশনপ্রেমী মেয়েরা সমুদ্রসৈকতের জন্য বেছে নিতে পারেন ম্যাক্সি জামা, প্রিন্টেড লং শর্টস, জাম্পস্যুট, কিমোনো কিংবা রঙিন কাফতান।
শাড়িপ্রেমীরা নীল শাড়ি সঙ্গে নিতে পারেন। সমুদ্রের সঙ্গে নীল আকাশ আর শাড়ি মিলেমিশে একাকার হয়ে যাবে। অন্যদিকে সমুদ্রভ্রমণে ছেলেদের জন্য উপযুক্ত পোশাক হতে পারে রঙিন লিনেন, হাওয়াই বা কিউবান কলার শার্ট। ফ্লোরাল বা ছাপা নকশার হলে বেশ মানাবে।
যেহেতু হুটহাট বৃষ্টি হচ্ছে, তাই এ সময় পাহাড়ে বেড়াতে গেলে অবশ্যই রেইনকোট রাখতে হবে। হাঁটাচলার সুবিধার্থে ছেলেমেয়ে উভয়ের জন্য ঢিলেঢালা আর স্ট্রেচি ফেব্রিকের প্যান্ট পরা উচিত। টুইন ওয়ান কার্গো প্যান্টও বেছে নিতে পারেন ছেলেরা। চাইলে প্যান্টের নিচের অংশ খুলে থ্রি–কোয়ার্টার হিসেবেও পরা যাবে।
সমুদ্র কিংবা পাহাড় ছাড়া এ সময় সমতলেও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন অনেকে। সমতলে ভ্রমণে যাওয়ার ঝক্কি কিছুটা কম থাকে। তাই পোশাক নিয়েও খুব একটা সমস্যা হয় না। মেয়েদের জন্য টপস, টিউনিক, কুর্তি, কাফতান কিংবা টি–শার্টে আরাম ও স্টাইল—দুটিই মিলবে। এসব পোশাক বেশ ট্রেন্ডি ও আধুনিক।
অন্যদিকে ছেলেদের জন্য এ সময় টি-শার্ট, সুতির শার্ট কিংবা ফতুয়াও বেশ মানাবে। তবে সকাল, দুপুর ও রাতের আবহাওয়া উপযোগী পোশাক নির্বাচন করলে ভ্রমণ হবে আরামের। পোশাকের সঙ্গে যেন অনুষঙ্গ মানানসই হয়, সেটাও খেয়াল রাখতে হয় ফ্যাশনিস্তাদের। বেড়াতে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ হলো ব্যাগ। এ ছাড়া ভ্রমণ অনুষঙ্গ হিসেবে স্টাইলিশ স্কার্ফ, সানগ্লাস হতে পারে এই সময়ের সঙ্গী।
তবে সমুদ্র, পাহাড় বা সমতল, দেশ বা বিদেশ—গন্তব্য যেখানেই হোক, সেখানকার আবহওয়া, তাপমাত্রা ইত্যাদি জেনে তবেই ব্যাগ গোছানো উচিত। না হলে বেড়াতে গিয়ে আনন্দ মাটি হবে। আর অবশ্যই অকারণে বেশি পোশাক নেওয়া একেবারেই কাজের কাজ হবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।