বৈজ্ঞানিক গবেষণা অনুসারে মঙ্গল গ্রহে মহিলা ত্রু মেম্বার পাঠানো সবথেকে যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত হবে। বাস্তবতার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে এটাই করা উচিত। এ ধরনের মিশনে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের কম অক্সিজেন, কম ক্যালরি এবং কম জল পানের প্রয়োজন হয়।
1950 এর দশকের শেষের দিকে, ড. ডব্লিউ. র্যান্ডলফ লাভলেস, এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডন ডি. ফ্লিকিংগার উল্লেখ করেছেন যে মহিলারা হালকা এবং তাই তাদের কম অক্সিজেন প্রয়োজন। আসলে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের বেশি রিসোর্সের প্রয়োজন হয় না। এর ফলে যেমন মিশন পরিচালনা করার ক্ষেত্রে খরচ বেশ কিছুটা কমে যাবে তেমনি আরো অনেক ইকুপমেন্ট যোগ করা সম্ভব হবে।
তাছারা একজন নারীর আচরণ আরো বেশি সহযোগিতামূলক হওয়া সম্ভব এবং সংঘাতময় পরিস্থিতি তারা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এর ফলে দীর্ঘ মেয়াদে মহাকাশ মিশন ভালোভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হবে।
তাদের প্রযোজন ব্যবস্থা বিকিরণ দ্বারা তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। একই সাথে নারীর হার্ট অ্যাটাক হওয়ার প্রবণতাও কম হয়ে থাকে। তিনি ওই সময়ে আরো উল্লেখ করেছিলেন যে, একটি মহাকাশ অভিযানের সব গ্রুপ মেম্বার যদি নারী হয় তাহলে তাদের তেমন বেশি সাপোর্টের প্রয়োজন হবে না।
নারী মেম্বার যত বেশি হবে ততই খরচ সাশ্রয় হবে। পুরুষের তুলনায় নারী মহাকাশচারীর ২৬ শতাংশ কম ক্যালরির দরকার হয়। পাশাপাশি ২৯ শতাংশ কম অক্সিজেনের দরকার হয়। নারীর তুলনায় পুরুষের ১৮ শতাংশ বেশি পানির প্রয়োজন হয়।
মানসিক অবস্থার কথা বিবেচনা করলে দীর্ঘমেয়াদে মহাকাশ অভিযানের জন্য নারী পুরুষের তুলনায় বেশি উপযুক্ত হয়ে থাকে। সামাজিক বিকিরণের কথা বললে মহিলারা বেশি সহযোগিতামূলক আচরণ করে থাকে। ২০১৯ সালের দিকে মঙ্গল গ্রহে প্রথম ত্রু মিশন চালানো হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।