মানুষ চন্দ্র বিজয় করেছে অনেকদিন হয়ে গেছে। মানবজাতির পরবর্তী টার্গেট হতে পারে মঙ্গল গ্রহ। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ মেসন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক বলেন যে, মঙ্গল গ্রহে ২২ জন নভোচারী পাঠাতে পারলে সেখানে বসতি গড়ে তোলার কাজ শুরু করা সম্ভব। যেসব কারণে পৃথিবীর বাইরে মানববসতি গড়ে তোলা প্রয়োজন তা আজকের আর্টিকেল এ আলোচনা করা হবে।
পৃথিবীর জনসংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকলে পৃথিবীর বাইরে মানব বসতি গড়ে তোলার প্রয়োজন হবে। সেজন্য মঙ্গল গ্রহকে আপাতত প্রথম টার্গেট হিসেবে দেখছে বিজ্ঞানীরা। ১৯৭১ সালে সর্বপ্রথম মার্কিন নভোযান খুব কাছে থেকে মঙ্গল গ্রহের ছবি তুলে।
এরপর বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত নিয়ে গবেষণা করার পর বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন যে, পৃথিবীর বাইরে বসবাস করার অনুকূল পরিবেশ থাকতে পারে মঙ্গল গ্রহে। এরপর ২০০৮ সালের নাসা জানতে পারে মঙ্গল গ্রহে পানির উপস্থিতির কথা। বিজ্ঞানীরা দাবী করেন যে, পৃথিবী এবং মঙ্গল গ্রহের আবহাওয়া এবং পরিবেশের মধ্যে কিছুটা মিল রয়েছে।
পৃথিবীতে এরকম বেশ কিছু স্থান রয়েছে যা হুবহু মঙ্গল গ্রহের কিছু স্থানের সাথে মিলে যায়। যেমন আতাকামা মরুভূমি। সেখানে চরম শুষ্ক পরিবেশ বিরাজ থাকার কারণে মানুষ বাস করতে পারে না। গবেষকরা আশা করছেন যে, মঙ্গল গ্রহের মাটিতে এরকম কিছু বৈশিষ্ট্য পাওয়া যাবে যা বসবাসের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করবে।
পৃথিবীর তুলনায় মঙ্গল গ্রহের কার্বনের মাত্রা বেশ বেশি। এখানে কোন ওজন স্তর নেই। মঙ্গল গ্রহে বাতাসের বেগ অনেক বেশি। সেখানে ঝড় হয়ে থাকে। সৌরজগতের গ্রহগুলোর মধ্যে সবথেকে বেশি পর্বত রয়েছে মঙ্গল গ্রহে।
মঙ্গল গ্রহে প্রথম দিকে যারা বাস করতে যাবেন তাদেরকে বদ্ধ পরিবেশে থাকতে হবে। নতুন নতুন নানা সমস্যার মুখোমুখি হবেন তারা। জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে তাদের ভূমিকা রাখতে হবে। লম্বা সময়ের জন্য খাদ্য সংগ্রহ করে রাখতে হবে।
কাজেই মঙ্গল গ্রহে বাস করা চ্যালেঞ্জিং এবং সহজ কোনো বিষয় নয়। তাকে বিজ্ঞান নিয়ে অনেক কিছু জানতে হবে এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে দৃঢ় ব্যক্তিত্বের অধিকার হতে হবে। মঙ্গল গ্রহে বসতি স্থাপন শুরু করার জন্য পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ব্যবস্থা রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।