মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যখন নির্বাচন বা ভোট গ্রহণ হয় তখন সবাই যা চিন্তা করে ঠিক তার বিপরীতটাই ঘটে। যেমন ২০১৬ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় ছিল বিস্ময়কর ঘটনা। এবার মধ্যবর্তী নির্বাচনে জো বাইডেনের দল ডেমোক্রেটিক পার্টি এতটা ভালো করবে কেউ চিন্তা করতে পারেনি।
নির্বাচনের আগে একটু দুর্বল অবস্থাতে ছিলেন বাইডেন। এখন মধ্যবর্তী নির্বাচনে ফলাফল আশানুরূপ হওয়ায় তিনি প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছেন। অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার দল নির্বাচনের ফলাফলে হতাশ হয়েছেন।
নির্বাচনের আগে বিশ্লেষকরা ভেবেছিল যে, রিপাবলিকান দল নির্বাচনে ভালো করলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতিতে তার প্রভাব পড়তে পারে। কিন্তু জো বাইডেন ভালো ফল করায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতি আরো কয়েক বছর একই থাকবে বলে মনে হয়।
তিনি পরবর্তী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন এবং বিজয় লাভ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বেকারত্ব, মূল্যস্ফীতি এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে আমেরিকার নাগরিকদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। বাইডেন আমেরিকার অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
রাশিয়া, চীন, ভারত ও মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে আমেরিকার নীতি বদলানোর সুযোগ নেই। বাইডেন ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে যাবেন এবং আরো অস্ত্র পাঠাবেন। এখন ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বাইডেনের নীতিকে জনগণ কীভাবে দেখে সেটা বোঝার জন্য এ মধ্যবর্তী নির্বাচনের বিশেষ গুরুত্ব ছিল।
সৌদি যুবরাজ সালমান ভেবেছিলেন মধ্যবর্তী নির্বাচনে বাইডেন দুর্বল অবস্থানে পৌঁছে গেলে তিনি সুবিধা পাবেন। কিন্তু সেটি আর সম্ভব হলো না। তবে মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন রাশিয়া আমেরিকার প্রতি বর্তমানে যে দৃষ্টিভঙ্গি রাখছে সেখানে কোনো পরিবর্তন হবে না।
মধ্যবর্তী নির্বাচনের সবথেকে উল্লেখযোগ্য ফলাফল হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাবেন কিনা সেটা নিশ্চিত নয়। তার অবস্থান এখনো বেশ দুর্বল।
অন্যদিকে জো বাইডেন পুনরায় নির্বাচনে দাঁড়াবেন এবং বিজয় লাভ করবেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ভারতের মনোভাবের পরিবর্তন আসতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।