সাইফ বরকতুল্লাহ : তিস্তাপারের বৃত্তান্ত রেখে চলে গেলেন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক দেবেশ রায়। বৃহস্পতিবার (১৪ মে) রাত ১০টা ৫০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়েছে।
একই দিনে বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বরেণ্য শিক্ষাবিদ, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষক জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান।
দুই বরেণ্য ব্যক্তির মৃত্যুতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। কথাসাহিত্যিক অমর মিত্র বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে লিখেছেন, বাংলাদেশের জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান প্রয়াত হয়েছেন। জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় তিনি এপার বাংলায় সমাদৃত। আমরা আমাদের স্বজন হারালাম। আমি আমার শোক জ্ঞাপন করছি। আরেক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, হিমালয় পতন হলো। দেবেশদা চলে গেলেন। তিস্তাপারে চলে গেলেন আমার লেখক। আমার ঔপন্যাসিক।
কথাসাহিত্যিক নাসিমা আনিস লিখেছেন, একটু আগে চলে গেলেন কথাসাহিত্যিক দেবেশ রায়। আমার প্রিয় একজন লেখক।
কথাসাহিত্যিক পাপড়ি রহমান লিখেছেন, চিরবিদায় দেবেশ রায়!
কবি ও শালুক সম্পাদক ওবায়েদ আকাশ লিখেছেন, পৃথিবী তোমার এতটা প্রবল দুই স্তম্ভ একই দিনে খসে যায় যদি, তবে ছায়া দেবার আর কতটা মজবুত ছাদই রেখে গেলে বলো!! ‘বিপুলা পৃথিবী’ আর ‘তিস্তাপুরাণ’ কোথা পাবো আর এমন অমৃতগাথা! প্রণমী তোমারে সখা আনিসুজ্জামান, দেবেশ রায়।
কবি সাখাওয়াত টিপু লিখেছেন, দেবেশ রায়ও চলে গেলেন আজ! শ্রদ্ধা!
কবি সুহিতা সুলতানা লিছেখেন, এবার চলে গেলেন কথাশিল্পী দেবেশ রায়।
কবি ও লোক সম্পাদক অনিকেত শামীম ফেসবুকে লিখেছেন, বিদায় আনিসুজ্জামান, বিদায় দেবেশ রায়। গভীরতম শোক ও শ্রদ্ধা। একই দিনে দুইজন ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার মানুষ বিদায় নিলেন।
কথাসাহিত্যিক স্বকৃত নোমান ফেসবুকে লিখেছেন, দেবেশ রায়। উপন্যাসে মহাকাব্যিক বিস্তার দেওয়ার এক আশ্চর্য ক্ষমতা ছিল তাঁর। তিনিও চলে গেলেন। বাংলা উপন্যাসের একটা দিগন্ত শূন্য হয়ে গেল। অশ্রুত শোক ও শ্রদ্ধা।
গল্পকার সাদিয়া সুলতানা ফেসবুকে লিখেছেন, মাঝে মাঝে ভাবি পৃথিবীতে যতবার সমুদ্রের মুখোমুখি হয়েছি, লিখে ফেলবো সেসব অনুভবের কথা। লেখা হয় না। দুচোখে আটকে রাখা সমুদ্রসমগ্র দুচোখেই আটকে থাকে; যা দেখেছি, যা নিয়েছি, যা পেয়েছি তার কিছুই লেখা হয় না।
গল্পকার ও নাট্যকার রুমা মোদক লিখেছেন, আনিসুজ্জামান স্যারের পর দেবেশ রায়। নক্ষত্রহীন অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে আমাদের আকাশ…।
কথাসাহিত্যিক মেহেদী উল্লাহ লিখেছেন, ওপার বাংলায় বসে বাংলাদেশের সাহিত্য নিয়ে এমন খোঁজ রেখেছেন দেবেশ রায়, নিজ দেশে বসেও আমাদের বিখ্যাত অনেক লেখক, সমালোচক রাখতে পারেননি, ভাবতে পারেননি। বিশ্বাস না হলে পড়ে দেখুন তাঁর বই ‘বাংলাদেশের নাটক নভেল’। বাংলাদেশের ‘দ্বাদশ নভেলা’র ভূমিকা। বাংলাদেশের সাহিত্য তাঁর কাছে ঋণী। বিদায় দেবেশ রায়! শোক ও শ্রদ্ধা।
গল্পকার ও কবি আশরাফ জুয়েল লিখেছেন, দেবেশ দার সাথে নাটোরের রাজবাড়ী গিয়েছিলাম গত বছর। তাঁর পূর্বপুরুষের সম্পৃক্ততা ছিলো সেই রাজবাড়ীর সাথে। তাঁর ছোটমামা ছিলেন সেই রাজবাড়ীর পণ্ডিত। সেইসূত্রে তিনি এবং তাঁর মা এই রাজবাড়ীতে ছিলেন কিছুদিন। কথাগুলো বলার সময় কেমন স্মৃতিবিহবল হয়ে পড়ছিলেন, কেমন একটা ঘোরের মধ্যে চলে গিয়েছিলেন কথাসাহিত্যিক দেবেশ রায়।
কবি সাকিরা পারভিন সুমা লিখেছেন, চলে গেলেন আর এক পন্ডিত দেবেশ রায়।
গল্পকার অলাত এহসান লিখেছেন, ‘বিপুলা পৃথিবী’তে ‘তিস্তাপাড়ের বৃত্তান্ত’।
[মন্তব্যগুলো ফেসবুক থেকে সংগৃহীত ]
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।