নিত্যপণ্যের বাজারে মধ্যস্বত্বভোগীর দৌরাত্ম্য ঠেকাতে এরই মধ্যে সরকারের হটলাইন ১৬১২১ নম্বরে অভিযোগ গ্রহণ করছে সরকার। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরেও সক্রিয় রয়েছে মাঠে। এরপরও এদের বিলীন করা সম্ভব না হওয়ায় এবার নিত্যপণ্যের উৎপাদক, আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের ডেটাবেজ প্রস্তুত করা হচ্ছে। এই ডেটাবেজের ওপর ভিত্তি করে চলবে অনলাইন মনিটরিং। তৈরি করা হবে অ্যাপ।
এই অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই জানা যাবে কোন আমদানিকারক কোন পণ্য কত পরিমাণ আমদানি করেছেন, কী পরিমাণ বাজারজাত করেছেন কিংবা গুদামে মজুত আছে। একইভাবে অ্যাপসের মাধ্যমেই জানা যাবে তালিকায় থাকা কোন পাইকারি ব্যবসায়ীর কাছে কী পরিমাণ পণ্য মজুত আছে বা বাজারজাত করেছেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সরকার স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই ব্যবস্থা নিচ্ছে। প্রযুক্তির স্মার্ট প্রয়োগের মাধ্যমেই নিত্যপণ্যের বাজারে মধ্যস্বত্বভোগীর অস্তিত্ব বিলীন সম্ভব হবে বলে মনে করছে সরকার। সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। অনৈতিক মুনাফার আশায় সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করে বাজারে পণ্যের সংকট তৈরি করে এরা। এতে কষ্ট বাড়ে ভোক্তার, বিব্রত হয় সরকার।
এমন পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে নিত্যপণ্যের বাজার ব্যবস্থাপনায় অনলাইন পদ্ধতি চালু করার কথা ভাবছে সরকার। এই কাজের জন্য নতুন অ্যাপ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে খুচরা ব্যবসায়ীদের পণ্য কেনার ক্ষেত্রে ভাউচার সংগ্রহের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
অ্যাপের মাধ্যমে বাজার ব্যবস্থাপনায় জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। সেই লাইসেন্সই নির্দিষ্ট করবে কে পাইকারি ব্যবসায়ী, কে খুচরা ব্যবসায়ী আর কে আমদানিকারক। সরকার উৎপাদক থেকে শুরু করে খুচরা পর্যায় পর্যন্ত অ্যাপের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করবে। এতে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতার পরিচয় পরিষ্কার থাকবে। এই লাইসেন্সের মাধ্যমে কে কোন পণ্যের হোলসেল করবেন, কত পণ্য এলো, কত পণ্য বিক্রি হলো, এগুলোর খোঁজখবর রাখবেন জেলা প্রশাসক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।