জুমবাংলা ডেস্ক : এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদের মন্ত্রিসভায় সবচেয়ে বেশি বয়সী সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালাম। অন্যদিকে সবচেয়ে কম বয়সী সদস্য মহিবুল হাসান চৌধুরী। আর এবারের মন্ত্রিসভার সদস্যদের গড় বয়স ৬৬ বছর। হলফনামায় দেওয়া তথ্য এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট ঘেঁটে মন্ত্রীদের বয়সের এই গড় হিসাব করা হয়েছে।
এবারের মন্ত্রিসভায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ময়মনসিংহ-৯ আসন থেকে বিজয়ী মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালামকে। তিনিই এবারের মন্ত্রিসভার প্রবীণতম সদস্য। তার বয়স ৮২ বছর।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে নির্বাচিত মহিবুল হাসান চৌধুরী পেয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। তার বয়স ৪১ বছর। তিনিই এবারের মন্ত্রিসভার কনিষ্ঠতম সদস্য। তার বয়স ৪১ বছর। বিদায়ী সরকারের শিক্ষা উপমন্ত্রী ছিলেন তিনি।
এবারের মন্ত্রিসভায় ৮০ বছরের বেশি বয়সী সদস্য দুজন, ৭০ থেকে ৮০ বছর বয়সী সদস্য ১৫ জন, ৬০ থেকে ৬৯ বছর বয়সী সদস্য ১১ জন, ৫০ থেকে ৫৯ বছর বয়সী সদস্য পাঁচজন, ৪০ থেকে ৪৯ বছর বয়সী সদস্য চারজন।
এর আগে ১১ জানুয়ারি বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা বঙ্গভবনে শপথ নেন। রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন তাদের শপথবাক্য পাঠ করান। প্রধানমন্ত্রীসহ নতুন মন্ত্রিসভার মোট সদস্য ৩৭ জন। এর মধ্যে ২৫ জন মন্ত্রী এবং ১১ জন প্রতিমন্ত্রী।
শপথ নেওয়া ২৫ মন্ত্রী হলেন- আ ক ম মোজাম্মেল হক, ওবায়দুল কাদের, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, আসাদুজ্জামান খান কামাল, দীপু মনি, তাজুল ইসলাম, ফারুক খান, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আনিসুল হক, হাছান মাহমুদ, আবদুস শহীদ, সাধন চন্দ্র মজুমদার, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, আব্দুর রহমান।
এ ছাড়াও আছেন নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, আব্দুস সালাম, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ফরহাদ হোসেন, ফরিদুল হক খান, জিল্লুল হাকিম, সাবের হোসেন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, নাজমুল হাসান পাপন, ইয়াফেস ওসমান এবং সামন্ত লাল সেন।
মন্ত্রিপরিষদের নতুন ১১ প্রতিমন্ত্রীরা হলেন- সিমিন হোসেন রিমি, নসরুল হামিদ, জুনাইদ আহমেদ পলক, মোহাম্মদ এ আরাফাত, মহিবুর রহমান, জাহিদ ফারুক, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, রুমানা আলী, শফিকুর রহমান চৌধুরী, আহসানুল টিটু এবং খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ করা হয়। এরমধ্যে ময়মনসিংহ-৩ আসনের ফল স্থগিত রয়েছে। নির্বাচনে ২২২টি আসনে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি (জাপা) জয় পেয়েছে ১১ আসনে। আওয়ামী লীগের পদধারী নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৬২ আসনে জয় পেয়েছেন।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ১টি করে দুটি আসনে জয়ী হয়েছে। আর বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি জয় পেয়েছে ১টিতে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।