বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের রাজীব গান্ধী প্রজ্যোগিকী বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক দাবি করেছেন তাঁরা হলুদ থেকে মরণ রোগ ক্যান্সারের ওষুধ তৈরি করবেন।
গবেষকরা আরও দাবি করেছেন যে, তাঁরা সম্প্রতি হলুদের মধ্যে এমন একটি আণবিক উপাদানের খোঁজ পেয়েছেন, যা আগামী দিনগুলোতে ক্যান্সার নিরাময়ে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কর্কট-রোধ করে এমন ওই দুই অণুর নাম রাখা হয়েছে — ‘সিটিআর-১৭’ ও ‘সিটিআর-২০’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক উপাচার্য অধ্যাপক পীযূষ ত্রিবেদী জানিয়েছেন যে, এই যে আবিষ্কার তার প্যাটেন্ট পাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই আমেরিকার কাছে নাম পাঠানো
হয়েছে।
ত্রিবেদী আরও জানিয়েছেন যে, হলুদ আমাদের সবার ঘরেই থাকে। হলুদের কি ভেষজ গুণ আছে সেই সম্পর্কে কিন্তু আমরা সবাই কিছুটা হলেও জানি। হলুদের মধ্যে জীবাণুনাশক উপাদান থাকার কারণে বহু রোগ নিরাময়ের জন্য এই হলুদ ব্যবহার করা হয়। তিনি আরও বলেন যে, তাঁরা দীর্ঘ ১০ বছর ধরে গবেষণা চালিয়ে এমন দুটো অণুর খোঁজ পেয়েছেন, যেগুলি ক্যান্সার নিরাময়ে অনেকটা যাদুকাঠির মতো কাজ করেছে। এখন সময় হয়ে গিয়েছে এই সৃষ্টিকে বাস্তব-জীবনে পরীক্ষা করার।
জানেন কি কীভাবে, ক্যান্সারের মোকাবিলা করে এই ‘সিটিআর-১৭’ ও ‘সিটিআর-২০’? ত্রিবেদীর একজন সহ-গবেষক সি কার্তিকেয়ণ জানিয়েছেন যে, টিবিউলিন নামের একটি বিশেষ প্রোটিন আছে যা মানব দেহের কোষে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই টিবিউলিনের জন্যই যখন কোষ-বিভাজন হয় তখন এই ক্রোমোজোম পৃথকীকরণ হয়।
এর পাশাপাশি, এই টিবিউলিন কোষের মধ্যে যোগাযোগ তৈরি করে, কোষের উন্নয়ন ও তার আকৃতির রক্ষণাবেক্ষণ করে, কোষের পর্দায় অণুর বণ্টন সহ আরও একাধিক দায়িত্ব পালন করে থাকে। কার্তিকেয়ণ আরও জানিয়েছেন যে, এই আবিষ্কৃত অণু টিবিউলিনের ক্ষরণকে আটকে রেখে মানুষের শরীরে যে ক্যান্সার-আক্রান্ত কোষগুলির বিভাজন হয় তার বিস্তার রোধ করতে সাহায্য করে। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, কানাডার অ্যাডভান্সড মেডিক্যাল রিসার্চ ইন্সটিটিউটের একজন চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানী হিউন লি-র টিমের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগেই এই গবেষণা সম্পন্ন করা সম্ভবপর হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।