লাইফস্টাইল ডেস্ক: মরুভূমি এক বিস্ময়কর জায়গা। যেখানে উটের মতো আরেক বিস্ময়কর প্রাণী পাওয়া যায়। পৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্ক, উষ্ণতম এবং সবচেয়ে অনুর্বর জায়গা মরুভূমিতে উট অনায়াসে বেঁচে থাকে। খাবারের ব্যবস্থাও করতে হয় এ জায়গা থেকেই।
লন্ডনের ন্যাশনাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের তথ্যমতে, তিন প্রজাতির উট রয়েছে―ক্যামেলাস ড্রোমেডারিয়াস, ক্যামেলাস ব্যাক্ট্রিয়ানাস এবং ক্যামেলাস ফেরাস। এদের চর্বি দিয়ে তৈরি বিশেষ কুঁজ রয়েছে। যেটি ব্যবহার করে তারা অনেক দিন পানি না খেয়ে থাকতে পারে।
শুনতে অবাক লাগলেও কাঁটাযুক্ত যেকোনো গাছ, যেমন ক্যাকটাস খাওয়া উটের কাছে কোনো ব্যাপারই না। এর পেছনে রয়েছে তাদের ঠোঁটের ভূমিকা। উটের ঠোঁট অত্যন্ত সুঠাম এবং নমনীয় থাকে। খাবার চিবানোর সময় খাবারের ওপর এটি নড়াচড়া করে। উটের ওপরের ঠোঁট মাঝ বরাবর দুই ভাগে ভাগ করা। এতে খাবার ধরে রাখতে সুবিধা হয়। এ ছাড়া প্যাপিলাই নামক কোণ আকারের কিছু অংশ সারিবদ্ধভাবে মুখের ভেতরে থাকে। এর কাজ হলো চিবানো খাবারকে পাকস্থলীর দিকে ঠেলে পাঠানো।
ড্রোমেডারি উট, যাদের মূলত একটি কুঁজ থাকে। তারা প্রাথমিকভাবে কাঁটাযুক্ত গাছপালা, শুকনো ঘাস এবং লবণাক্ত লতাপাতা খেয়ে থাকে। এই উটগুলো মরুভূমির যেকোনো গাছের ঘাস, পাতা এবং ডালপালা খেয়ে থাকে। বাকি দুই প্রজাতির উট সেখানে জন্মানো কারাগানা, হ্যালক্সিলন, রেউমুরিয়া এবং সালসোলা গাছপালা খেয়ে থাকে।
এ ছাড়া উটের তিন থেকে চারটি পেট থাকে। প্রথম দুটি পেটে খাবারগুলো আংশিকভাবে ভেঙে যায়। অন্য পেটে প্রবেশ করার পর হজমপ্রক্রিয়া শুরু হয়।
মরুভূমিতে খাবার খুঁজে না পেলেও উটদের বেশি দুশ্চিন্তা করতে হয় না। কারণ পানি ছাড়াই তারা এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এবং খাবার ছাড়া কয়েক মাস বেঁচে থাকতে পারে।
সূত্র : লাইভ সায়েন্স।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।