সারাবিশ্বে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ মারা যায় মশাবাহিত রোগে। এছাড়া লাখ লাখ মানুষ মশার কামড়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এজন্য করোনাভাইরাস ছড়ানোর পেছনে মশার হাত রয়েছে কিনা সে ব্যাপারে বহু মানুষের মনে প্রশ্ন রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মশা নানা ধরনের ভাইরাস বহন করে। নিজের ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা জন্ম দেওয়ার জন্য মানুষের রক্ত খায় নারী মশারা। মশার কামড়ের ফলে মানুষের শরীরে ভাইরাস ঢুকে পড়ে।
এজন্য অবশ্য একটি ধাপের প্রয়োজন; তা হলো- ওই মশা প্রথমে আক্রান্ত কোনো প্রাণীকে কামড়াতে হয়, তারপর কোনো মানুষকে কামড় দিলে তিনি আক্রান্ত হতে পারেন।
ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, পীতজ্বর, জিকা, রোজ রিভার ভাইরাস বহন করে মশা। এছাড়া ম্যালেরিয়ার জীবাণু বহন করে মশা। তবে এইচআইভি এবং ইবোলা ভাইরাস মশা কখনোই বহন করতে পারে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাস ছড়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির মাধ্যমে। আক্রান্ত ব্যক্তি অন্য কাউকে স্পর্শ করলেও করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি থাকে। আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত পরীক্ষা করে করোনা শনাক্ত করা গেলেও মশার মাধ্যমে এটি ছড়ায় না। অন্তত এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো প্রমাণ মেলেনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।