গাজীপুর প্রতিনিধি: দেশের ভয়াবহ পরিস্থিতি অবলোকন করে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে ব্যক্তিগত টাকা দিয়ে ডেঙ্গু মশার লার্ভা নিধনে ২০০ টন ওষুধ এনেছেন বলে দাবি করেছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। গাজীপুরে ব্যবহারের পাশাপাশি কেউ চাইলে এই ওষুধ ঢাকাসহ সারা দেশে বিনামূল্যে পৌঁছে দিতে চান তিনি।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, আল্লাহ আমাকে সামর্থ্য দিয়েছেন। আমি সহযোগিতা করতে চাই।
সম্প্রতি এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ঢাকাসহ সারাদেশে এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে, অনেকে হাসপাতালে ভর্তি আছে। ডেঙ্গুর হাত থেকে দেশের মানুষকে রক্ষার জন্য তিনি চলতি মাসের শুরুর দিকে সিঙ্গাপুর থেকে ইউরোপের দেশ পোল্যান্ডে তৈরি এই কার্যকর ওষুধ এনেছেন।
মেয়রের দাবি, তার আনা এই ওষুধ ডেঙ্গুর বাহক এডিস ইজিপ্টি মশার লার্ভা ধ্বংস করে দিতে পারে।
মেয়র বলেন, প্রথম ২৫ টন এনেছিলাম, তারপরে ৫০ টন এরপর আরও ১০০ টন এনেছি। এখন আমার কাছে ২০০ টনের মতো এই ডেঙ্গু মশার লার্ভা নিধন এবং মশা মারার ওষুধ রিজার্ভ আছে।
মেয়র জাহাঙ্গীর বলেন, সবাই যেন অফিসিয়ালভাবে ব্যবহার করতে পারে সেই হিসেবে স্প্রে আমরা নিয়েছি এবং আমাদের কাছে ট্যাবলেট আছে যা পানির মধ্যে দিয়ে পানিকে জিরো করা যায়। এই আন্তর্জাতিক মানের ট্যাবেলেটও আমরা নিয়ে এসেছি।
প্রত্যেকটি নগর এবং প্রত্যেকটি নাগরিক যেন নিরাপদে থাকে সেজন্য উদ্যোগ নিয়েছি। সেই হিসেবে আপনাদেরকে বলবো কারো যদি ওষুধ প্রয়োজন হয় যোগাযোগ করবেন, আমরা নিজ খরচে ওধুষ পৌঁছে দিবো।
মেয়র জাহাঙ্গীর বলেন, এই ওষুধে মশা এবং ডেঙ্গুর লার্ভা দুটোই জিরো হয়। পরিবেশসম্মত এবং সবকিছু রক্ষা করেই আমি দেশের আরও সাতটি সিটি করপোরেশনের এবং ১৪৫টি পৌরসভায়, ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ, ঢাকার কয়েকটি স্থানে আমি এগুলো অলরেডি দিয়েছি এবং আমাদের আশেপাশের যেসব জেলাগুলো আছে তারা যোগাযোগ করলে তাদেরকেও আমরা দিচ্ছি এবং কারো যদি ওষুধ শর্ট পড়ে থাকে বা কোনো কিছু বোঝার থাকবে যোগাযোগ করবেন। ক্রাইসিসের মুহূর্তে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমরা আপনাদের সহযোগিতা করতে চাই।
এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমার কাছে যে ওষুধ রিজার্ভ আছে তা আগামী একমাস সারা দেশের প্রত্যেকটি সিটি করপোরেশনকে আমি বিনা টাকায় দিতো পারবো এবং তা আগস্ট সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত চলবে। পরবর্তীতে এসব ওষুধ যদি আরও লাগে কোম্পানির সাথে কথা হয়েছে তারা আমাকে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি।
তিনি বলেন, তাদের যে ডাক্তার আছে তারাও আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বাংলাদেশে আসবেন। এখানে সেমিনারের মাধ্যমে আমাদের প্রত্যেকটি নাগরিক যেন নিরাপদ থাকে সে হিসেবে আমরা সচেতনভাবে কাজগুলো শুরু করেছি এবং ভবিষ্যতে যেন এগুলো আরও আধুনিকভাবে করা যায়, সব মানুষ যেন বোঝে সেজন্য আমরা কাজগুলো হাতে নিয়েছি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, যারা এসব মেডিসিন সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ তাদের পরামর্শক্রমে আমরা এই ওষুধ ব্যবহার করছি। এই ওষুধের ফলে মশার লার্ভা ধ্বংস হবে, তবে গাছ-পালা, মাছ এবং ব্যাঙসহ অন্য কোনো প্রাণী ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
মেয়র জাহাঙ্গীর এর আগেও নানা সময় নিজের পয়সায় জনকল্যাণমূলক নানা উদ্যোগ নিয়ে প্রশংসিত হয়েছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।