বর্ষাকাল মানে কেবল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ নয়, বরং মশাসহ বিভিন্ন পোকা-মাকড়ের উৎপাতও বেড়ে যায় এসময়। মশা শুধু বিরক্তিকরই নয়, সেইসঙ্গে এর কামড়ে বিভিন্ন রোগের উৎপত্তি ঘটতে পারে। কিছু অসুখে তো ঘটতে পারে মৃত্যু পর্যন্ত। তাই আগেভাগেই সতর্ক হওয়া জরুরি। এসময় মশার হাত থেকে বাঁচার জন্য সচেতন থাকতে হবে। দিনে বা রাতে যখনই ঘুমাবেন, মশারি টাঙিয়ে রাখতে হবে। তবে সারাক্ষণ যেহেতু মশারির ভেতরে থাকা সম্ভব নয় তাই মশা দূর করার জন্য করতে হবে কিছু কাজ। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
মশা দূর করার জন্য কয়েল কিংবা স্প্রে ব্যবহার না করে বাড়িতে তৈরি করে নিতে পারেন প্রাকৃতিক সমাধান। এগুলো অনেক বেশি নিরাপদ। এককাপ পানিতে ১০ ফোঁটার মতো ল্যাভেন্ডার অয়েল, ৪-৫ ফোঁটা ভ্যানিলা এক্সট্র্যাক্ট এবং ৪ ফোঁটা পাতি লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। তবে এটি বাড়িতে নয়, আপনার শরীরে স্প্রে করতে হবে। এতে মশা আপনার থেকে দূরে থাকবে।
নিমের তেল আমাদের চুল কিংবা ত্বকের জন্য উপকারী একথা সবারই জানা। কিন্তু আপনি জানেন কি, মশা কিংবা মাছি থেকে দূরে রাখতেও দারুণ কার্যকরী ভূমিকা রাখে নিমের তেল। সেজন্য আপনাকে ৩০ মিলি নারিকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে ১০-১২ ফোঁটা নিম তেল। এরপর সারা শরীরে মেখে নিতে হবে। এভাবে ব্যবহার করলে ত্বক তো সুন্দর থাকবেই, মশাও আপনার কাছে ঘেঁষবে না।
রূপচর্চার কাজে আমন্ড অয়েলের কার্যকারিতার কথা জানা আছে নিশ্চয়ই? এটি মশা দূরে রাখতেও কাজ করবে। সেজন্য আপনাকে ৩ চামচ আমন্ড তেল নিতে হবে। অথবা চাইলে আমন্ড অয়েলের জায়গায় অলিভ অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন। এরপর এর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি একটি স্প্রে বোতলে নিয়ে নেবেন। এরপর সকালে এবং রাতে ঘুমানোর সময় ব্যবহার করলেই মশা থাকবে দূরে।
নারিকেল তেলের সঙ্গে টি ট্রি অয়েল কিংবা পিপারমেন্ট অয়েল মিশিয়ে নিলেও দারুণ উপকার পাবেন। এক্ষেত্রে একই মাপে অর্থাৎ ৩০ মিলি নারিকেল তেলের সঙ্গে ১৫ ফোঁটার মতো টি ট্রি অয়েল কিংবা পিপারমেন্ট অয়েল মিশিয়ে নেবেন। এরপর মিশ্রণটি সারা শরীরে বিশেষ করে শরীরের যেসব অঙ্গ ঢাকা না থাকে সেসব স্থানে মালিশ করে নেবেন। এতেও মশা দূরে পালাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।