জুমবাংলা ডেস্ক: মশা মারার নতুন ওষুধের নমুনা দু-এক দিনের মধ্যে বিদেশ থেকে এসে পৌঁছাবে এবং তা পরীক্ষা করে যত দ্রুত সম্ভব ক্রয় করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। খবর ইউএনবি’র।
শুক্রবার রাজধানীর উত্তরায় ডিএনসিসি এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে এডিস মশা নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ডিএনসিসি এখন থেকে নিজেই মশার ওষুধ ক্রয় করতে পারবে। তবে এ ক্ষেত্রে ওষুধের মান সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো নিশ্চিত করবে।
মশা নিধনে ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের ব্যবহারের বিষয়ে মেয়র বলেন, ‘শুধু ভারত নয়, আমরা যেকোনো দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিতে প্রস্তুত।’
মশা নির্মূলে সিটি করপোরেশনের আন্তরিকতায় কোনো কমতি নেই উল্লেখ করে তিনি জানান, এখন থেকে বছরে ৩৬৫ দিনই এডিস মশা নিয়ে কাজ করতে হবে।
এর আগে হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ওয়ার্ড ভিত্তিক বাসাবাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে মশা নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এডিস মশা নির্মূলে কাজ করে যাওয়ার জন্য সবাইকে একযোগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
‘আমরা নিশ্চয়ই এডিস মশামুক্ত ঢাকা গড়তে পারি, দরকার শুধু সচেতনতা আর সামাজিক আন্দোলন। নিজ নিজ বাসাবাড়ি, অফিস-আদালত ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোথাও তিন দিনের বেশি পানি জমতে দেয়া যাবে না। যেখানেই পরিত্যক্ত বালতি, কন্টেইনার ইত্যাদি পাওয়া যাবে, সেগুলো উপুড় করে দিতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, এডিস মশা নির্মূলে ডিএনসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন ভবন পরিদর্শন করছে। মশার বংশবিস্তারের অনুকূল পরিবেশ পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। নগরবাসীকে ডেঙ্গু রোগ থেকে রেহাই দিতে এবার বাসাবাড়িতেও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে এবং মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ডিএনসিসি এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে এডিস মশা নির্মূলে প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি ভাগে ভাগ করে সোমবার থেকে একযোগে কাজ শুরু করবে। এ কর্মযজ্ঞে প্রচুর স্বেচ্ছাসেবী দরকার হবে। এ জন্য যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ৬০০ যুব কাজ করবে।
মেয়র সব সাংবাদিককে বিভিন্ন এলাকার অপরিচ্ছন্নতার পূর্ণ তথ্য দিয়ে ডিএনসিসিকে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ জানান।
ডিএনসিসির সব মশক সুপারভাইজার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ফোন নাম্বার শুক্রবার তিনটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। মেয়র সেগুলো সবাইকে সংগ্রহ করতে অনুরোধ করেন এবং শিগগিরই অন্য জাতীয় দৈনিকগুলোতেও এ তথ্যগুলো প্রচার করা হবে বলে জানান।
তিনি উল্লেখ করেন, মশা নিধন কর্মীদের জিপিএস ট্র্যাকারের মাধ্যমে মনিটর করা হবে।
ডেঙ্গুর সংক্রমণ ঠেকাতে ডিএনসিসির উদ্যোগে বিভিন্ন হাসপাতালে মশারি দেয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেক রোগীকে হাসপাতালে অবশ্যই মশারির ভেতরে রাখতে হবে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল হাই, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফারুক আহমেদ, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফছার উদ্দিন খান প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।