আহতরা হলেন- ওই মসজিদের মুয়াজ্জিন মো. মোশারফ হোসেন, তার মা শরীফা খাতুন, মসজিদের মোতওয়াল্লি মো. শাহ আলম, লোকমান হোসেন ও জামাল উদ্দিন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, ছয় হাজার টাকা বেতনে দীর্ঘ ১৪ বছর যাবত ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মাওলানা মো. নূরুল আবছার। হঠাৎ করে তার বেতন বাড়ানোর জন্য গত কয়েক দিন যাবত মসজিদ পরিচালনায় নিয়োজিত মোতওয়াল্লি মো. শাহ আলম ও লোকমান হোসেনকে অনুরোধ করে আসছেন। তারা তার বেতন বাড়াতে অপারগতা প্রকাশ করলে নূরুল আবছার ইমামতির পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে তার ফেসবুকে গত ৩১ মে একটি স্ট্যাটাসও দেন।
তার পদত্যাগের পরদিন ১ জুন মসজিদের মোতওয়াল্লিরা আলোচনাক্রমে মাওলানা আবদুর রহমান নামে একজনকে ইমাম হিসেবে নিয়োগ দেন।
শুক্রবার তিনি জুমার নামাজে পড়াতে মসজিদে গেলে ইউপি সদস্য বেলাল হোসেন, আবুল কালাম প্রকাশ কালা, সাইফুল ইসলাম, হৃদয়, মো. শাকিল, পদত্যাগী ইমাম নূরুল আবছার, বোরহান উদ্দিন পলাল ও এনামুল হকসহ ১৫-২০ জন যুবক মোতওয়াল্লি, মুয়াজ্জিনসহ মুসল্লিদের ওপর হামলা করে।
এ ব্যপারে মুয়াজ্জিন মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে সোনাগাজী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য বেলাল হোসেন তার নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি হামলাকারীদের হাত থেকে মুসল্লিদের রক্ষা করে মিম্বরের সামনে আশ্রয় দিয়েছেন।
তিনি জানান, হামলাকারীদের দাবি ছিল- গ্রামের সবার দানে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদের নামে ৪ একর ৯৯ শতক জমি ওয়াকফ করা আছে। অথচ মোতওয়াল্লিরা একক সিদ্ধান্তে নতুন ইমাম নিয়োগ দিয়েছেন। তাই গ্রামের লোকজন উত্তেজিত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।