জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়া পূর্বপাড়া এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ও স্থানীয় প্রভাব বিস্তার এবং মসজিদে নামাজ পড়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাতজন আহত হয়েছে। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইকুরিয়া পূর্ব পাড়া জামে মসজিদের সভাপতি মো. শামসুদ্দিন ওরফে শামসুর সঙ্গে আওয়ামী যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ আলী কেলের দীর্ঘদিন যাবৎ দলীয় ও পারিবারিক বিবাদ চলে আসছিল। গতকাল উক্ত মসজিদে নামাজ পড়তে যায় মোহাম্মদ আলী কেলের ছোট ভাই মহব্বত আলী।
পূর্ব শত্রুতার সেই রেশ ধরে মহব্বত আলীকে মারধর করে শামসু ও তার ছেলেরা। খবর পেয়ে মহব্বত আলীর বড় ভাই মোহাম্মদ আলী কেলে লোকজন নিয়ে পাল্টা হামলা করে তাদের ওপর। এ ঘটনায় মহব্বত আলীর পক্ষের সাতজন আহত হয়।
আহতরা হলেন, মোহাম্মদ আলী কেলে (৩৫),আসাদ উল্ল্যাহ (৩৫), মহব্বত আলী (২৫), আবু সাঈদ (৩৮), আলী হোসেন (৪০), শাকিল (৩৫) এবং শুভ (২৫)।
এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিক ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। খবর পেয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ ও র্যাব-১০ কেরানীগঞ্জ ক্যাম্প ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ ঘটনায় আহত মোহাম্মদ আলী কেলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তিনি বলেন, অভিযুক্ত সামসু ও আমরা একই সমাজের। আমরা একই মসজিদে নামাজ আদায় করে থাকি। বুধবার রাতে আমার ছোট ভাই মসজিদে নামাজ পড়তে যায়। সেখানে সামসু ও তার ছেলে-ভাতিজারা আমাদের নামাজ পড়তে দিবে না বলে আমার ছোট ভাইয়ের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। খবর পেয়ে আমি ও আমার স্বজনরা হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা আমাদেরকেও মারধর করে আহত করে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আমাদের উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সমাসুদ্দিন ওরফে সামসুর মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, ইকুরিয়া পূর্ব পাড়া জামে মসজিদের তিনি সভাপতি। তার বিরুদ্ধে আনিত সব অভিযোগ মিথ্যা। মোহাম্মদ আলী কেলে আওয়ামী লীগের নাম বিক্রি করে এলাকায় মাদকের আখরা বানিয়ে ফেলছে। কিছুদিন আগে মাদকসহ তার বোনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে। আমি সেই মাদক বিক্রিতে তাদের বাধা দেওয়ায় উল্টো তারা আমার বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে আমাদের বিরুদ্ধে আবার থানায় মামলা করেছে।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজামান বলেন, আহতদের পক্ষ থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। বিষয়টি আমরা সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আসামিদের গ্রেপ্তার করব। সূত্র : কালের কণ্ঠ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।