পদত্যাগের দাবিতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষকে সোমবার বেলা তিনটা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত কিছু সময়ের জন্য পরীক্ষা ভবনে এবং পরে মসজিদের ভেতরে ৫ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে কলেজটির শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যক্ষের সঙ্গে এক সংলাপে আশ্বাসমূলক বক্তব্য ও সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না পেয়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সংলাপ ভেঙে বের হয়ে আসেন এবং ‘এক দফা এক দাবি, অধ্যক্ষের পদত্যাগ চাই’ স্লোগান তুলে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা ৯ দফা জানিয়ে দুই কার্যদিবস সময় বেঁধে দেন। দাবি হলো- কলেজে গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখতে অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজন, ডিগ্রি শাখার জন্য পৃথক ও আধুনিক ক্যাম্পাস স্থাপন, সিসিটিভি ক্যামেরা ও পর্যাপ্ত লাইটিংয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা জোরদার, বহিরাগত, মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে ক্যাম্পাসে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন, শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে বাস ও মাইক্রোবাস সার্ভিস চালু, আবাসিক হল ও আশপাশের হোটেল এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসন, সুপেয় পানি, আধুনিক ওয়াশরুম এবং যুগোপযোগী শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় আলাদা ফান্ড গঠন, কলেজের সব ধরনের আয়ব্যয় ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মফিদুল হাসান পল্লব বলেন, এই কলেজে আমরা গেলে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলতে পারি না। অধ্যক্ষ স্যার দরজায় তালা দেন। প্রশাসনের কাছে যাওয়ার আগে কাউকে নিয়ে যেতে হয়। এটা কেমন গণতান্ত্রিক পরিবেশ?
তিনি বলেন, তামিমের ওপর ছাত্রলীগের হামলার এক বছর পার হলেও প্রশাসন তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। এটা সবার সামনে ঘটেছে, মিডিয়াতেও এসেছে। তাহলে এত গোপনীয়তা কেন?
নবাব ফয়জুন্নেসা হলের শিক্ষার্থী সাবরিনা সুলতানা বলেন, হলে পানি নেই। কথা বলেও সমাধান নেই। নয় দফা দাবি জানিয়েও সমাধান নেই। তাই আমরা উনাকে চাই না। উনি এক বছরেও তামিম নির্যাতনের বিচার করতে পারেনি। যারা নির্যাতন করেছে তাদের শাস্তি দিতে পারেনি। অথচ আমাদের বহিষ্কার করবে বলে হুমকি দিচ্ছে।
আয়-ব্যয়ের হিসাবের অস্বচ্ছতা বিষয়ে শিক্ষক পরিষদের যুগ্ম-সম্পাদক ও বাংলা বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক মো. মুনছুর হেল্লাল জানান, প্রশাসনিক ভবনের ডিজিটাল বোর্ডে এখন সবগুলো খাতওয়ারী নোটিশ দেখাচ্ছে। ওয়েবসাইটে ও দিয়েছে। তবে পদত্যাগের বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে সভা হওয়ার কথা রয়েছে । অধ্যক্ষ এখনো কিছু জানায়নি ।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজ অধ্যক্ষকে আবুল বাসার ভূঞা বিষয়টি দেখছেন বলে জানান। এসময় তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।