উজান হতে নেমে আসা ঢলের পানির তীব্র স্রোত টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পদ্মা নদী দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। ফলে টঙ্গিবাড়ী উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্রতিনিয়ত পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে পদ্মা নদীর তীর অঞ্চলে ভাঙন। টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পাঁচগাও, হাসাইল, কামাড়খাড়া দিঘিরপাড় ইউনিয়নের ৭ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে পদ্মা নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
টঙ্গিবাড়ী উপজেলার হাইয়ার পার এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, হাইয়ারপাড় জামে মসজিদটির ৮০ ভাগ এলাকা পদ্মা নদীর মধ্যে চলে গেলেও মসজিদটি এখনো দাঁড়িয়ে আছে। মসজিদের ফ্লোরের অনেক অংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। মসজিদের ভেতর দিয়ে তীব্র গতিতে স্রোত প্রবাহিত হচ্ছে। যেকোনো মুহূর্তে মসজিদটি পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।
ওই এলাকার আবুল সেখ (৭০) বলেন, জন্মের পর হতেই দেখছি এখানে একটি মাদরাসা ও মসজিদ ছিল। আমার পূর্ব পুরুষরাও এ মসজিদে নামাজ আদায় করতেন। মসজিদটি অনেক সুন্দর করে আমরা বানাইছিলাম। নদীতে ভাইঙা লইয়া যাচ্ছে এখন একটা ছাপড়া তুইলা নামাজ পরতাছি।
মো. বিল্লাল হোসেন (৬০) জানান, রোজার মধ্যেও মসজিদে তারাবির নামাজ পড়ছি। কিন্তু কয়েক দিন যাবৎ নদী ভাঙন বৃদ্ধি পাওয়ায় মসজিদটি ভেঙে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে টঙ্গিবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা আক্তার জানান, ভাঙন রোধে ১৮০ মিটার বাঁধ বালু ভর্তি জিএ ব্যাগ ফেলে বাঁধ নির্মাণ করছে পানি উন্নায়ন বোর্ড। আমরা ভাঙনকবলিত স্থানগুলো একাধিকবার পরিদর্শন করেছি এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



