মহাকাশে পৃথিবীর কক্ষপথে পুরোনো স্যাটেলাইট, রকেট উৎক্ষেপণের ধ্বংসাবশেষ, মহাকাশযান থেকে শুরু করে নভোচারীদের ফেলে আসা বিভিন্ন বর্জ্যের জট তৈরি হয়েছে। এসব বর্জ্যের কারণে যেকোনো সময় মহাকাশে ভয়ানক বিপদ তৈরি হতে পারে। তাই মহাকাশ ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের প্রতিদিন এক হাজারের বেশি সংঘর্ষের সতর্কতা জারি করতে হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এসব বর্জ্যের কারণে ভবিষ্যতে হয়তো নতুন মহাকাশযান উৎক্ষেপণ বন্ধও করে দিতে হতে পারে।
মহাকাশে থাকা বর্জ্যের জট বিষয়ে আমেরিকান জিওফিজিক্যাল ইউনিয়নের এক সম্মেলনে পদার্থবিদ টমাস বার্গার বলেন, ‘আমরা অকার্যকর স্যাটেলাইট, রকেটের দেহাবশেষসহ বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি আর বর্জ্যজাতীয় জিনিসগুলোর সম্পর্কে কথা বলছি, এসব কক্ষপথে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন বস্তুর পাশাপাশি কক্ষপথে লাখ লাখ ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, যা বুলেটের চেয়ে দ্রুতগতিতে ছুটছে। ভয়ানক গতিশীল এসব বস্তু মহাকাশ সংঘর্ষের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।’
মহাকাশে স্যাটেলাইট অপারেশনস এবং মহাকাশযানের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা মার্কিন প্রতিষ্ঠান কায়হান স্পেসের সহপ্রতিষ্ঠাতা সিয়ামক হেসার জানিয়েছেন, প্রায় ১০০টি কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইটের জন্য প্রতি সপ্তাহে ৬০ হাজারের বেশি সতর্কতা জারি করা হয়ে থাকে। এসব সতর্কতার বেশির ভাগ তথ্যই পৃথিবীর কক্ষপথের নির্দিষ্ট একটি এলাকা থেকে পাওয়া যায়। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় থাকা স্থানটিতে স্পেসএক্সের স্টারলিংক স্যাটেলাইট রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বল্ডার ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডোর মহাকাশ আবহাওয়া প্রযুক্তি, গবেষণা ও শিক্ষা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক থমাস বার্গার বলেন, স্যাটেলাইট অপারেটরদের জন্য এই সতর্কতার মধ্যে কোনটি গুরুত্বপূর্ণ আর কোনটিতে মনোযোগ দিতে হবে, তা নির্ধারণ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। যেহেতু ট্র্যাকাররা মহাকাশে বস্তুর অবস্থান সঠিকভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারেন না, তাই যখন কোনো বস্তু একে অপরকে কাছাকাছি দূরত্ব অতিক্রম করে, তখন এই সংঘর্ষের সতর্কতা জারি করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।