আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইতিহাসের প্রথম বাণিজ্যিক স্পেসওয়াক মিশন সফলভাবে সম্পন্ন করার পর নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে এলেন ৪ জন নভোচারী। ‘পোলারিস ডন’ নামের এই প্রাইভেট মহাকাশ অভিযানের পলিচালনায় ছিলো ইলন মাস্কের মহাকাশযান প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স।
পোলারিস ডন এর নভোচারীদের নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসা ড্রাগন ক্যাপসুলটি মেক্সিকো উপসাগরে নিরাপদে অবতরণ (স্প্ল্যাশডাউন) করে গত রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) প্রথম প্রহরে (৩টা ৩০ মিনিটে)। মহাকাশে ইতিহাস গড়ে ফিরে আসা নোভাচারীরা হলেন: জারেড আইজ্যাকম্যান, আনা মেনন, সারাহ গিলিস ও স্কট ‘কিড’ পতিত। উল্লেখ্য, উক্ত মহাকাশ অভিযানটি পরিচালিত হয় ‘রেজিলিয়েন্স’ নামের ক্রু ড্রাগন মহাকাশযানের মাধ্যমে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ নিজেদের অ্যাকাউন্ট থেকে গতকাল পোস্ট করে স্পেসএক্স তাঁদের ড্রাগন ক্যাপসুলের নিরাপদ অবতরণের বিষয়টি নিশ্চিত করে। পাশাপাশি ৪ জন নভোচারীকে স্বাগতও জানায় স্পেসএক্স।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) আইজ্যাকম্যান ও গিলিস ইতিহাসের প্রথম বাণিজ্যিক স্পেসওয়াক মিশন সম্পন্ন করে। দু’জনেই মহাকাশযান থেকে বের হয়ে স্পেসস্যুট পরিহিত অবস্থায় একাধিক মোবিলিটি টেস্টে অংশ নেয়।
পোলারিস ডন মহাকাশ অভিযানে অংশ নেয়ার মাধ্যমে নারীদের মধ্যে পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরবর্তী স্থানে ভ্রমণের রেকর্ড গড়লেন গিলিস ও মেনন। ‘রেজিলিয়েন্স’ মহাকাশযানটি সর্বোচ্চ ৮৭০ মাইল উচ্চতায় পৌঁছয় এবারের এই পোলারিস ডন অভিযানে। উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালে নাসা’র অ্যাপলো প্রোগ্রামের অধীনে পরিচালিত মহাকাশ অভিযানের পর এটাই মহাকাশে মানুষের সর্বোচ্চ উচ্চতায় উত্তরণ।
স্পেসওয়াকের পাশাপাশি এবারের অভিযানে নভোচারীরা বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষানিরীক্ষাও চালায়। পাশাপাশি মহাকাশ থেকে পৃথিবীর সাথে ৪০ মিনিটের একটি ভিডিও কলেও অংশ নেয় ৪ জন নভোচারী এবং পৃথিবীতে বিভিন্ন ফাইল সফলভাবে পাঠাতে সক্ষম হয়। ভিডিও কল ও ফাইল পাঠানোর উদ্দেশ্য ছিলো স্টারলিঙ্কের মহাকাশ যোগাযোগ ব্যবস্থার সক্ষমতা পরীক্ষা করা।
তথ্যসূত্র: এনজেগেট
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।