মহাবিশ্ব সম্প্রসারণ এর হার নির্ণয় করার ক্ষেত্রে হাবল ধ্রুবক ব্যবহার করা হয়। হাবল ধ্রুবক নির্ণয় করার দুটি ভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। এবং দুইটি পদ্ধতির মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন ফলাফল পাওয়া যায়। দুটি পদ্ধতির দ্বারা একই ফলাফল আসছে না।
দুটি ভিন্ন ধরনের ফলাফল আসার পর কসমিক নিয়ে নতুন নিয়ম পদার্থ বিজ্ঞানীরা তৈরি করতে যাচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে কোন উপায়ে সেটা করা হবে তা এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত না।
কসমোলজি নিয়ে বিজ্ঞানীরা যতই অধ্যায়ন করছেন ততই নতুন নতুন অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হচ্ছেন। পদার্থবিজ্ঞানের ট্রেডিশনাল মেথড অনুযায়ী অনেক কিছুই এখন আর ব্যাখ্যা করা যাচ্ছে না।
কসমোলজি অধ্যয়নে একটা নতুন যুগে প্রবেশ করেছে বিজ্ঞানীরা। কসমিক বিবর্তনের ক্ষেত্রে সকল প্যারামিটার সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেয়েছে বিজ্ঞানীরা। মহাবিশ্বের বয়স এবং ঘনত্ব সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে পদার্থবিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের জন্য এতদূর আসাটা বেশ বড় সাফল্যের বিষয়। কসমোলজির প্যারামিটারগুলোর মধ্যে হাবল ধ্রুবক অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আধুনিক কসমোলজি এটা জানায় যে, মহাবিশ্ব ক্রমাগত সম্প্রসারিত হচ্ছে এবং এ হার ধ্রুবক দ্বারা নির্ণয় করা হয়েছে। এই বিষয়টির সাথে মহাবিশ্বের বয়সের সম্পর্ক রয়েছে।
শুরুতে হাবল ধ্রুবকের মান এসেছিল ৫০০। এর মানে দাড়াচ্ছে যে, মহাবিশ্বের বয়স বেশ কম এমনকি সূর্যের থেকেও কম। বর্তমান সূত্র অনুযায়ী এ মান হিসাব করলে মহাবিশ্বের বয়স আরো কমে যায়। ফলে একটি দ্বান্দিক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নয় পরবর্তী ধাপ কি হতে পারে। লেট ইউনিভার্স মেথড অনুযায়ী এ ধ্রুবকের মান হচ্ছে 74। অন্যদিকে আরলি ইউনিভার্স মেথড অনুযায়ী এ মান আসে ৬৭। অর্থাৎ দুই পদ্ধতিতে ভিন্ন ফলাফল এসেছে।
তবে ধারণা করা হচ্ছে যে গবেষণার মাধ্যমে নতুন এবং নির্ভুল ফলাফল পেতে সক্ষম হবে বিজ্ঞানীরা। তখন হাবল ধ্রুবকের মান ৬৭ এবং ১৪ এর মাঝামাঝি কিছু একটা হতে পারে।
বর্তমানে লেট ইউনিভার্স মেথডটি বেশি গুরুত্ব পায়। কেননা এ পদ্ধতির মাধ্যমে আরলি ইউনিভার্স মেথড থেকে তুলনামূলকভাবে সঠিক ফলাফল পাওয়া যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।