দূরত্ব, সময় ও ওয়ার্ম হোলের সাথে ব্ল্যাক হোলের সম্পর্ক নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা চলছে। বুলগেরিয়ার পদার্থবিজ্ঞানীরা এ বিষয় নিয়ে গবেষণায় নতুন দিক উন্মোচন করেছেন।
সোফিয়াতে অবস্থিত বুলগেরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা নতুন মডেল প্রস্তাব করেছেন। তারা বলেন যে, আইনস্টাইনের সাধারণ তত্ত্ব অনুযায়ী মহাবিশ্বের স্পেসটাইম ব্যাকগ্রাউন্ড গভীর মহাকর্ষীয় গর্ত তৈরি করতে পারে।
এ মহাকর্ষীয় গর্ত থেকে কোন বস্তু পালাতে পারে না। সেখানে পর্বত শৃঙ্গের মতো আকার তৈরি হয় যার চূড়া পর্যন্ত কোন বস্তু যেতে পারে না। কোন বস্তু এ পর্বত শৃঙ্গের কাছাকাছি আসতে পারে না। তবে বিকিরণের ক্ষেত্রে ভিন্ন বৈশিষ্ট্য দেখতে পাওয়া গেছে।
১৯৩০ সালে আইনস্টাইনের সহকর্মী নাথান রজন দেখিয়েছিলেন যে, ব্ল্যাক হোলের বাঁকা অংশ ওয়াইট হোলেন চূড়ার সাথে সংযোগ স্থাপন না করার পেছনে কোন কারণ থাকতে পারে না।
দূরত্ব এবং সময় সেভাবে কাজ করে না যেভাবে আমরা ভাবি। ম্যাটার মহাজগতিক যেকোন কসমিক টিউবের এক প্রান্ত থেকে প্রবেশ করে অন্য প্রান্ত দিয়ে বের হয়ে আসতে পারে।
শক্তিশালী টেলিস্কোপের সাহায্যে পদার্থ বিজ্ঞানীরা ওয়ার্ম হোলের চুম্বকীয় বলয় নিয়ে একটি মডেল তৈরি করার চেষ্টা করেছেন। পাশাপাশি এটি কীভাবে কাজ করে তা নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা চলছে।
ব্ল্যাক হোলের বিশৃঙ্খল চাকতির মত পোলারাইজড অংশ এবং ওয়ার্ম হোলের ধোঁয়াটে অংশের মধ্যে পার্থক্য করা বেশ কঠিন। বলা হচ্ছে যে ব্ল্যাক হোলের শেষ প্রান্তে ওয়ার্মহোল থাকার সম্ভাবনা খুব বেশি। তবে তা খুঁজে বের করার কোন সহজ উপায় থাকবে না।
পদার্থ বিজ্ঞানীরা ভাগ্যবান হলে মহাকর্ষীয় লেন্সের সাহায্য নিয়ে ওয়ার্ম হোল এবং ব্ল্যাক হোলের মধ্যে সূক্ষ্ম পার্থক্য তৈরি করা সম্ভব হবে। বিজ্ঞানীরা যদি সঠিক কোণ খুঁজে পায় এবং আলো কোন দিক দিয়ে প্রবেশ করছে তার সন্ধান পাওয়া সম্ভব হয় তাহলে এ গবেষণায় নতুন মাত্রা যোগ হবে।
অবশ্য গবেষকরা চান যে লেন্স অথবা নিখুঁত কোণের সাহায্য ব্যতীত রাতের আকাশে ওয়ার্মহোল খুঁজে পাওয়া যায় এরকম একটি মডেল তৈরি করা যায় কিনা। সোফিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টা সফল হলে মহাবিশ্বকে ব্যাখ্যা করার নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।