মহাবিশ্বের শেষ পরিণতি কী এটা নিয়ে তাঁর আগে অন্য কোনো বিজ্ঞানী সেভাবে ভাবেননি। এ বিষয়ে গত শতাব্দীর সত্তরের দশকে জামাল নজরুল ইসলাম লিখেছিলেন বিশ্ব বিখ্যাত এক বই- দ্য আল্টিমেট ফেট অব দ্য ইউনিভার্স। সেই বইয়ের একটা অংশ অনুবাদ করা হলো পাঠকদের জন্য।
অন্তিম পরিণতিতে এই মহাবিশ্বের ভাগ্যে কী ঘটবে? বুদ্ধিমত্তা বিকাশের পর থেকেই এই প্রশ্ন আন্দোলিত করেছে এক মানুষ থেকে আরেক মানুষের মন। এই প্রশ্ন থেকে মানুষের মনে জন্ম নিয়েছে আরও কিছু প্রশ্ন। এই পৃথিবীর ভবিষ্যৎ কী? কিংবা এই মানবজাতির ভবিষ্যৎ কী?
বর্তমানে প্রশ্নগুলো খুব সহজ মনে হলেও অনেক কাল পর্যন্ত এদের কোনো বিজ্ঞানসম্মত ও গ্রহণযোগ্য উত্তর ছিল না। এ ধরনের প্রশ্নের গ্রহণযোগ্য ও বিজ্ঞানসম্মত উত্তর দেওয়ার জন্য জ্যোতির্বিদ্যা ও সৃষ্টিতত্ত্বে যে পরিমাণ উন্নতি অর্জিত হওয়া দরকার, তা অর্জিত হয়েছে মাত্র কয়েক দশক আগে।
মহাবিশ্বের অন্তিম পরিণতি ঘটতে অবশ্যই অনেক অনেক সময় লাগবে। ব্যাপক সময়ের ব্যবধানে এই মহাবিশ্বের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নির্ভর করে দুটি বিষয়ের ওপর: (১) মহাবিশ্বের বর্তমান গঠন কেমন এবং (২) মহাবিশ্ব কীভাবে এই গঠনে এসেছে। এ দুটি প্রশ্নের উত্তর জানলে মহাবিশ্বের ভবিষ্যৎ কী, সে সম্পর্কে জানা যাবে। মহাবিশ্বের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভালোভাবে আলোচনা করতে গেলে আস্ত একটা বই রচনা করার প্রয়োজন হবে।
সামগ্রিকভাবে বিবেচনা করলে বলা যায় মহাবিশ্বের মূল গাঠনিক উপাদান হলো গ্যালাক্সি। মহাবিশ্বের সীমাহীন শূন্যতার ‘সাগরে’ কোটি কোটি ‘দ্বীপ’সদৃশ নক্ষত্রের সমন্বয়ে এক–একটি গ্যালাক্সি গঠিত। সাধারণ একটি গ্যালাক্সিতে প্রায় ১০০ বিলিয়নের (১০১১) মতো নক্ষত্র থাকে। আমাদের সূর্য এ রকমই একটি নক্ষত্র।
পৃথিবী, সূর্য ও সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহ নিয়ে আমরা যে গ্যালাক্সিতে বসবাস করি, তাকে বলা হয় মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি বা আকাশগঙ্গা ছায়াপথ। এটিকে শুধু ‘গ্যালাক্সি’ বা ‘ছায়াপথ’ নামেও ডাকা হয়। পর্যবেক্ষণযোগ্য সব গ্যালাক্সি এবং গ্যালাক্সির সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য বস্তুর সমন্বয়ে এই মহাবিশ্ব গঠিত। জোরালো প্রমাণ আছে যে গড়পড়তাভাবে মহাবিশ্বের সব অংশেই এসব বস্তু ও গ্যালাক্সি সমানভাবে ছড়িয়ে আছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।