মহাকর্ষীয় তরঙ্গকে কীভাবে ব্যবহার করতে হবে তা নিয়ে কাজ করছে বিজ্ঞানী। এ তরঙ্গ কীভাবে গ্যালাক্সি, গ্রহ এবং গ্যাসের মধ্যে দিয়ে চলতে পারে তা নিয়ে গবেষণা করছে বিজ্ঞানীরা। বিগ ব্যাং এর পরে মহাবিশ্বের গঠনটি কেমন ছিল তা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছে বিজ্ঞানীরা।
জার্নাল অফ কসমোলজি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোপার্টিকেল ফিজিক্স এ প্রকাশিত গবেষণা পত্র এর লেখক দীপেন গার্গ বলেছেন যে, আমরা মহাবিশ্বের প্রাথমিক অবস্থা সরাসরি দেখতে পারবো না। তবে পরোক্ষভাবে তা দেখতে সক্ষম হতে পারে।
ওই সময়ের মহাকর্ষীয় তরঙ্গ পদার্থ এবং বিকিরণের উপর কিভাবে প্রভাব সৃষ্টি করেছে তা জানতে হবে। গার্গ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ডিপার্টমেন্টের প্রিস্টন প্লাসমা ফিজিক্স এর ল্যাবরেটরীতে কাজ করেছেন। তিনি প্লাজমা পদার্থবিদ্যার প্রিস্টন প্রোগ্রামের ছাত্র ছিলেন।
গার্গ বর্তমানে ফিউশন শক্তি নিয়ে কাজ করছেন। ফিউশন এনার্জীর মাধ্যমে সূর্য এবং নক্ষত্র শক্তি পেয়ে থাকে। বিজ্ঞানীরা এটা বের করার চেষ্টা করছেন যে, কিভাবে গ্রীন হাউজ গ্যাসে নির্গত না করে বা দীর্ঘ সময় ধরে তেজস্ক্রিয় বজ্র তৈরি না করে পৃথিবীতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়।
ফিউশন অধ্যায়নের মাধ্যমে গবেষকরা এটা নির্ণয় করতে চান যে, কিভাবে প্লাজমার মধ্যে দিয়ে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ চলাচল করে। এটি ইলেকট্রন ও পারমাণবিক নিউক্লিয়াস দ্বারা গঠিত।
গার্গ এমন একটি ফর্মুলা তৈরি করতে পেরেছেন যাদের মহাকাশে তরঙ্গ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানা সম্ভব। এ তরঙ্গ যখন পদার্থের মধ্য দিয়ে যায় তখন আলো উৎপাদিত হয় এবং পদার্থটি কতটা ঘন সেটাও বোঝা সম্ভব হয়।
এ কৌশল ব্যবহার করে গবেষকরা ভবিষ্যতে মহাবিশ্বের প্রথম দিনগুলির নানা ঘটনার কথা জানতে পারবে। যখন এ গবেষণা শুরু হয়েছিল এটি একটি ছোট প্রজেক্ট ছিল। এখন এ গবেষণার গুরুত্ব অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউএস ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন এই গবেষণায় সব ধরনের আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।