বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : মহাকাশ থেকে তোলা সূর্যগ্রহণের ‘রিং অফ ফায়ার’-র ছবি প্রকাশ করল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। সেখানে চাঁদের ছায়া পৃথিবীর উপর পড়তে দেখা গিয়েছে। ওই ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়।
মঙ্গলবার রিং অফ ফায়ারের ছবি প্রকাশ্যে আনে নাসা। মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ-পূর্ব টেক্সাসের উপকূলে চাঁদের ছায়া পড়েছিল। প্রায় ১৫ লাখ কিলোমিটার দূর থেকে পৃথিবীর বুকে ওই চাঁদের ছায়া পড়ে বলে জানা গিয়েছে। গত শনিবার সূর্যগ্রহণ হয়। তবে পৃথিবীর সমস্ত জায়গা থেকে তা দেখা যায়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অংশ থেকে এই সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছিল। এছাড়াও মেক্সিকো, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন জায়গা থেকে সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছে।
নাসা সূত্রে খবর, সূর্যগ্রহণের সময় রিং অফ ফায়ারের ছবি তুলতে বিশেষ একটি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়। যার নাম আর্থ পলিক্রোম্যাটিক ইমেজিং ক্যামেরা। ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট থেকে ওই ছবি তোলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, এবারের গ্রহণকে বৃত্তাকার গ্রহণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। নিয়ম অনুযায়ী, সূর্য, চাঁদ ও পৃথিবী এক সরল রেখার চলে এলে গ্রহণ হয়। তখন চাঁদের ছায়া পৃথিবীর উপর পড়ে।
বৃত্তাকার গ্রহণের সময় চাঁদ পৃথিবী থেকে তার সবচেয়ে দূরবর্তী বিন্দুতে বা তার কাছাকাছি অবস্থান করে। জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় অ্যাপোজি। সেখানে পৌঁছলে আকাশে চাঁদকে ছোট দেখায়। ফলে গ্রহণের সময় সূর্যের প্রান্তে একটি আকর্ষণীয় লাল-কমলা রিং দেখতে পাওয়া যায়। একেই বলে রিং অফ ফায়ার। মহাকাশ গবেষকদের দাবি, ২০৩৯-র ২১ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফের দেখা যাবে সূর্যগ্রহণ। এছাড়া ২০২৪-এ মেক্সিতে আংশিক গ্রহণ দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
চলতি বছরে মোট চারটি গ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে একটি সূর্যগ্রহণ ও একটি চন্দ্রগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। ১৪ তারিখের সূর্যগ্রহণকে অনেকে আবার কঙ্কনাকৃতি গ্রহণও বলেছেন। কারণ ব্যাসের তারতম্যের কারণে চাঁদ সূর্যকে পুরোপুরি ঢাকতে পারে না। ফলে গ্রহণের সময় সূর্যকে মেয়েদের হাতের চুরি বা কঙ্কনের মতো দেখতে লাগছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।