জুমবাংলা কৃষি: এক সময়ের গরু-মহিষ দিয়ে হালচাষের মাধ্যমে জমি তৈরি করা হলেও সময়ের বিবর্তনে ও আধুনিক কৃষি যন্ত্রাংশের কারণে এই চাষাবাদ পদ্ধতি এখন বিলুপ্তির পথে। হারানো এই ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে মহিষ দিয়ে হালচাষাবাদকেই পেশা হিসেবে নিয়েছেন টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কচুয়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম।
সরজমিনে উপজেলার গড়গোবিন্দপুর, কালিয়া, কচুয়া, দাড়িপাকা, হামিদপুর, মুচারিয়া পাথারসহ কিছু গ্রামে দেখা যায় গরু-মহিষ দিয়ে মই দেয়ার ব্যাপক চাহিদা। কালের বিবর্তনে এই অঞ্চল থেকে মই দেয়ার পদ্ধতি বিলুপ্তির পথে।
স্থানীয় কৃষকরা জানায়, ইরি ধানের জমিতে ভালো ভাবে মই দিয়ে চারা না লাগালে ভালো ভাবে পানি পৌঁছায় না এবং দ্রুত আগাছা জন্মায়। যার ফলে জমিতে ভালো ফলন পায় না কৃষকরা। আধুনিক কৃষি যন্ত্রাংশ বের হলেও গরু বা মহিশ দিয়ে জমিতে মই দিতেই হয়।
কৃষকদের চাহিদার প্রেক্ষিতে জমিতে মই দেওয়ার কাজটি পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন স্থানীয় বেকার যুবক শফিকুল ইসলাম। তিনি কচুয়া গ্রামের অব্দুল করিম মিয়ার ছেলে।
শফিকুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কোনো পেশা না পেয়ে মহিষ দিয়ে অন্যের জমি মই দিয়ে দেই। দিনে প্রায় তিন থেকে চার পাকি জমি (৫৬ শতাংশ) মই দিতে পারি। মহিষকে ভূসি খাওয়াতে হয় অন্যান্য খঁরচ বাদ দিয়ে প্রতিদিন এক-দেড় হাজার টাকা লাভ থাকে।
কৃষক আজগর আলী বলেন, আগের মতো লাঙল, জোয়াল, মইয়ের ব্যবহার নাই। কচুয়া গ্রামের শফিকুল মই দেয় কিন্তু তার সিরিয়ালই পাচ্ছি না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।