জুমবাংলা ডেস্ক: অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সিআইডির (পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ) তিনজন সদস্যকে আটক করে পুলিশী হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
আটককৃত তিনজন হচ্ছেন-রংপুর সিআইডি’র এএসপি সারোয়ার কবির, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক। তাদের বহনকারী গাড়ির চালককেও তাদের সাথে আটক করা হয়েছে।
রংপুরে সিআইডির এসপি আতাউর রহমান একটি বার্তা সংস্থাকে জানান, ওই তিনজন তার কোনও অনুমতি ছাড়াই রংপুর থেকে দিনাজপুরে গিয়ে ওই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে তিনি জেনেছেন।
‘তারা আমার কোন পারমিশন নেয়নি। নিজেরাই সেখানে গেছে বেসরকারি গাড়ি নিয়ে। এখন দিনাজপুর জেলা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। তারা যে সিদ্ধান্ত নিবে সে অনুযায়ীই ব্যবস্থা নেয়া হবে,’ বলেন তিনি।
দিনাজপুর ও রংপুরের পুলিশ প্রশাসন সূত্রগুলো জানিয়েছে, চিরিরবন্দর উপজেলা সদরের সোলেমান শাহপাড়ায় সোমবার রাতে নাটকীয় কায়দায় বাড়ি থেকেই মা ও ছেলেকে অপহরণ করে নেয় একদল ব্যক্তি। রাত সাড়ে নয়টার আট/নয় জন একটি মাইক্রোবোস নিয়ে সেখানে যায়। তাদের সাথে ২/৩টি মোটরসাইকেলও ছিল।
কালো রংয়ের ওই মাইক্রোবাস থেকে নেমে তারা ঘরে ঢুকে মধ্যবয়সী এক নারী ও ছেলেকে তুলে নেয়। বাড়িতে থাকা একটি মোটরসাইকেলও তারা নিয়ে যায়।
পরে ওই নারীর স্বামী ও এক আত্মীয়কে ফোন করে তাদের মুক্তির জন্য পনের লাখ টাকা দাবি করা হয়।
এ নিয়ে মঙ্গলবার দিনভর অপহরণকারীদের সাথে তাদের আলোচনা চলে এবং এর মধ্যে ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয় পুলিশও অবহিত হয়।
পরে আট লাখ টাকা মুক্তিপণ রফা হলে অপহরণকারীদের টাকা নিতে হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আসতে বলা হয় কিন্তু সেখানে পৌঁছানো মাত্রই তারা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে তাদের ধাওয়া করে দিনাজপুর সদরের দশমাইল নামক স্থান থেকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুব্রত কুমার সরকার ঘটনাটি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।