ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ (ওসমানীনগর–বিশ্বনাথ) আসনে ব্যতিক্রমী এক নির্বাচনী সমীকরণ তৈরি হয়েছে। একই আসনে মা ও ছেলে পৃথকভাবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন বিএনপির নিখোঁজ নেতা এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা এবং তার ছেলে আবরার ইলিয়াস।

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিলেটের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তারা নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনাকে ইতোমধ্যে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। তিনি দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। অপরদিকে, তার ছেলে আবরার ইলিয়াস একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
মা ও ছেলের একসঙ্গে প্রার্থী হওয়া নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হলেও বিএনপির দলীয় সূত্র জানিয়েছে, এটি একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত। কোনো কারণে তাহসিনা রুশদীর লুনার মনোনয়ন বাতিল হলে বিকল্প হিসেবে আবরার ইলিয়াস নির্বাচনে থাকবেন। অন্যথায় লুনার প্রার্থিতা বহাল থাকলে আবরার ইলিয়াস তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেবেন।
উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তাহসিনা রুশদীর লুনা বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তবে সে সময় চাকরিজনিত জটিলতার কারণে তার প্রার্থিতা বাতিল হয়। তিনি একসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা পদে কর্মরত ছিলেন। ২০১২ সালে এম ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার পর তিনি সক্রিয়ভাবে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হন।
এদিকে সিলেট-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য আরও পাঁচজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন— জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী আবদুল হান্নান, খেলাফত মজলিসের মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, জাতীয় পার্টির মাহবুবুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা আমির উদ্দিন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার আবদুস শহিদ।
মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে এই আসনের চূড়ান্ত নির্বাচনী চিত্র আরও স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।


