জুমবাংলা ডেস্ক : লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীটি (১২) অবশেষে পুত্রসন্তান জন্ম দিয়েছে। ওই ছাত্রীটি স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসবে ঝুঁকি থাকায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে অস্ত্রোপচার করার পরামর্শ দেন।
মেয়েটি গত সোমবার (৫ অক্টোবর) রংপুরের বেসরকারি রোজ ক্লিনিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একটি পুত্রসন্তান জন্ম দেয়। পরিবার অতিদরিদ্র হওয়ায় বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত ওই প্রসূতি মায়ের যাবতীয় ব্যয় বহন করেন। ধর্ষণের শিকার হয়ে ওই চতুর্থ শ্রেণির শিশুটি আরেকটি শিশুর জন্ম দেওয়ায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, বুড়িমারী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের তহিদুল ইসলামের ছেলে ওয়াজেদ আলী (৩৫) চতুর্থ শ্রেণির ওই শিশুটিকে একাধিকবার ফুঁসলিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় মেয়েটির (ছাত্রীর) বাবা বাদী হয়ে গত ২৬ জুলাই পাটগ্রাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওয়াজেদ আলীকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও মামলার বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, বুড়িমারী ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের ইসলামপুর এলাকার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর (১২) দিনমজুর বাবা-মা পাথর ভাঙার মেশিনে কাজ করতেন। বাড়িতে অন্য কেউ না থাকার সুযোগে প্রতিবেশী একই ইউনিয়নের দুই সন্তানের জনক ওয়াজেদ আলী দীর্ঘদিন ধরে ফুসলিয়ে ও বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত জানান, ধর্ষিতা মেয়েটি মা হয়েছে জেনেছি। আমাদের পক্ষ থেকে আসামি গ্রেপ্তারের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।