জুমবাংলা ডেস্ক : প্রায় ৭ ঘণ্টা চেষ্টার পর গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ধীরাশ্রম এলাকায় মাইওয়ানের মিনিস্টার ফ্রিজ তৈরির কারখানায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এরই মধ্যে কারখানাটির ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ জানান, কারখানা ভবনটি ৬ তলা। ষষ্ঠ তলাতেই আগুনের সূত্রপাত হয়। কিন্তু আগুন লাগার কারণ আমরা এখনই বলতে পারছি না। কারখানা ভবনের ষষ্ঠ তলা ও পঞ্চম তলা পুড়ে গেছে। দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে বেগ পেতে হয়েছে।
‘এছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেই কারখানাটিতে। পাশের মার্কওয়্যার লিমিটেডের ডোবা থেকে পানি সংগ্রহ করে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছে। কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এখন ডাম্পিং এর কাজ শুরু হয়েছে।’
কোম্পানির হেড অব মিডিয়া কে এম জি কিবরিয়া জানান, কারখানায় তৈরি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক হোম অ্যাপ্লায়েন্স প্রোডাক্ট ষষ্ঠ তলায় মজুদ করে রাখা ছিল। তবে সেখানে কত টাকার পণ্য সামগ্রী ছিল সে বিষয়ে কোনও ধারণা দিতে পারেননি তিনি।
মাই ওয়ান ইলেকট্রনিক্স ও মিনিস্টার হাই-টেক পার্ক লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম এ রাজ্জাক খান সাংবাদিকদের বলেন, আগুন লাগার সময় কারখানায় কাজ বন্ধ ছিল। কীভাবে ছয় তলায় আগুন লাগলো তা আমরা এখনও বুঝতে পারছি না।
এ ঘটনায় ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এবং ওই কমিটিকে আগামী সাত কর্ম দিবসের মধ্যে প্রকৃত কারণ উদঘাটন করে প্রতিবেদন জামা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) এস এম তরিকুল ইসলাম।
গাজীপুরের মিনিস্টার ও মাইওয়ান ইলেক্ট্রনিকস কারখানা ভয়াবহ আগুনে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে ওই দুই কারখানায় আগুন লাগে। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ধীরাশ্রম এলাকায় একই ভবনে কারখানা দুইটি অবস্থিত। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুপুর পর্যন্ত আগুন নেভানো যায়নি। তবে আধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি নিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করছে সদর দপ্তরসহ ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. আতিকুর রহমান জানান, মিনিস্টার ফ্রিজ তৈরির কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে জয়দেবপুর, শ্রীপুর, কালিয়াকৈর, টঙ্গী ও উত্তরা এবং সদর দপ্তরের ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিটের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন।
তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। তবে ইতোমধ্যে আগুন কারখানার ছয় তলার গুদাম পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন অফিসার আতিকুর।
তিনি আরো জানান, আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। ভবনটির ছয় তলার স্টোর রুমে আগুন পৌঁছে যাওয়ায় তা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
ভবনটির নিরাপত্তাকর্মী শামীম বলেন, ‘শুক্রবার কারখানা বন্ধ ছিল। ভোরে হঠাৎ করে আগুন লাগলে আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেই। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত কারখানায় এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। পরে ঢাকার ফায়ার সার্ভিসের আরো কয়েকটি ইউনিট এসে তাদের সঙ্গে যোগ দেয়।’
তিনি জানান, ভবনটির ষষ্ঠ তলায় কারখানার গুদাম। সেখানে তৈরি এলইডি টিভি, এলসিডি টিভি, ফ্রিজ, রাইস কুকারসহ বিভিন্ন পণ্য মজুদ ছিল।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন গাজীপুরের সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি শামসুন্নাহার, সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ও পুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।