জুমবাংলা ডেস্ক : ‘হ’ত্যাকাণ্ডের পর থাক্কাই গৃহকর্ত্রী রোকসানার পরিবারের পক্ষ থেকে টাকার বিনিময়ে মামলা তুলে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হইতাছে। কিন্তু আমরা রাজি হই নাই। আমরা গরিব মানুষ, তার পরও মাইয়ার জানের বদলে টাকা চাই নাহ ন্যায্য বিচার চাই।’ কান্না জড়ানো কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন রাজধানীর মোহাম্মদপুরে নির্যাতনে নিহত গৃহকর্মী জান্নাতি আকতারের (১২) বাবা জানু ম-ল।
জান্নাতি হ’ত্যার প্রতিবাদ ও গৃহকর্তা-গৃহকর্ত্রীর শাস্তির দাবিতে বগুড়ার গাবতলীতে এক মানববন্ধন ও সমাবেশে এসব কথা বলেন জানু ম-ল। এলাকাবাসীর আয়োজনে গতকাল দুপুরে উপজেলা পরিষদের সামনে এই মানববন্ধন হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে স্যার সৈয়দ রোডের ৬/৫/এ নম্বর ভবনের একতলায় গত মঙ্গলবার ভোরে গৃহকর্তার অমানুষিক নির্যাতনে মারা যায় জান্নাতি আকতার। জান্নাতি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের তেলিহাটা গ্রামের ভ্যানচালক জানু ম-লের মেয়ে। এ ঘটনায় জানু ম-ল গৃহকর্ত্রী রোকসানা বেগম এবং তার স্বামী পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাঈদ আহমদের নামে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন। এরই মধ্যে রোকসানাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।
মানববন্ধন শেষে জান্নাতির বাবা জানু ম-ল বলেন, আমাদের অভাবের সংসার। সহায় সম্বল বলতে কিছুই নাই। পর পর তিনটা মেয়ে। রোকসানা একদিন এসে বলে, মেয়েটাকে দাও, আমার কাছে থাক। বড় হলে আমি বিয়ে দিয়ে দেব। তাই মনে করলাম মেয়ের বিয়ের চিন্তা মুক্ত হলাম। কিন্তু বিয়ে দেওয়ার কথা বলে নিয়ে গিয়ে মেয়েটাকে মেরে ফেলল।
জান্নাতির মা শামসুন নাহার বলেন, বিশ্বাস করে রোকসানার হাতে আট বছরের মেয়েটাকে তুলে দিয়েছিলাম। কিন্তু ওরা স্বামী-স্ত্রী মিলে দিনের পর দিন নির্মম নির্যাতন করেছে আমার মেয়ের ওপর।
স্বামী সাঈদ আহমেদের চাকরি সূত্রে রোকসানা তখন বগুড়া শহরে ছিলেন। এর পর সাঈদের পরিবার ঢাকায় চলে এলে জান্নাতিও তাদের সঙ্গে ঢাকায় আসে। সাঈদ বর্তমানে পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।