জুমবাংলা ডেস্ক : মাগুরায় ৩৪৩ ফিট লম্বা ড্রাগন ঘুড়ি বানিয়ে আকাশে উড়িয়েছে মেহেদী হাসান এলিট নামে এক যুবক। যা রীতিমতো আলোচনার বিষয় বস্তু হিসাবে রূপ নিয়েছে।
করোনা মহামারির এ সময়ে স্কুল কলেজ বন্ধ হয়ে সবকিছু এখন স্থবির। নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছোট ভাই আকিব হাসানের ঘুড়ি উড়ানোর বায়না থেকেই এ ঘুড়িটি বানানোর প্রস্তুতি নেন বড়ভাই মেহেদী হাসান। মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামের ১৫ জন সহপাঠীকে সঙ্গে নিয়ে শুরু হয় ঘুড়ি বানানোর কাজ।
ইউটিউব দেখে দীর্ঘ আড়াই মাস বাঁশ, কাপড়, ককশিট, সার্জিক্যাল টেপ, মাস্কিন টেপ, ব্লুগান স্টিক ও আঠা দিয়ে তারা এ ড্রাগন ঘুড়িটি তৈরি করেন। যাতে ৪৩ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছে এলিট।
এলিট আরও জানান, ৩৪৩ ফুট লম্বা ঘুড়ি বানানোর সিদ্ধান্তটি নিয়ে তিনি পাড়ার বন্ধুদের সঙ্গে আলাপ করেন। বন্ধুরাও এতে ইতিবাচক সাড়া দেন। এরপর শুরু হয় কর্মযজ্ঞ। দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে ১৫ জন বন্ধু মিলে তৈরি করেন ডাবল ড্রাগন ঘুড়ি। এ ঘুড়ি বানাতে খরচ হয়েছে ৪৩ হাজার টাকা।
এরপর গত বুধবার বিকেলে মাগুরা মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান স্টেডিয়ামে তাদের ফুটবল গুরু সৈয়দ বারিক আনজাম বারকির উপস্থিতিতে শতাধিক স্বেচ্ছাসেবকের সহায়তায় সফলভাবে আকাশে ওড়ানো হয় এই ডাবল ড্রাগন ঘুড়ি, যা দেখতে স্টেডিয়ামে ভিড় করেন বিভিন্ন বয়সের অসংখ্য মানুষ।
দীর্ঘ একটি ঘুড়ি বানানো বিষয়ে এলিট বলেন, ঝোঁকের বশে সিদ্ধান্ত নিলেও পরে নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে কাজ থমকে গিয়েছিল। তবে বারিক আনজাম বারকি ভাইয়ের সাহস ও বন্ধুদের সহযোগিতায় আড়াই মাসের মধ্যে তিনি এই দীর্ঘ ঘুড়িটি বানাতে সক্ষম হন। এত কিছুর পরও তিনি তৃপ্ত ছিলেন না। গত বুধবার বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান স্টেডিয়ামে শতাধিক ছোট ভাইয়ের সহযোগিতায় তিনি যখন এই ঘুড়ি আকাশে ওড়াতে সক্ষম হন, তখনই তিনি তৃপ্তির হাসি হাসেন।
ড্রাগন ঘুড়ি ওড়ানো দেখতে আসা কিশোর আশিকুর জানায়, করোনার কারণে সে অনেক দিন ঘরে বন্দি দিন কাটিয়েছে। তবে মাঠে এসে এত বড় ড্রাগন ঘুড়ি দেখে তার প্রাণ জুড়িয়ে গেছে।
সন্তানদের নিয়ে ড্রাগন ঘুড়ি দেখতে আসা স্কুল শিক্ষক আতিকুর রহমান বলেন, এ ঘুড়ি দেখে সন্তানরা যেমন খুশি হয়েছে, তেমনি তিনিও অভিভূত।
বিকেএসপির সাবেক ফুটবলার মাগুরার ক্রীড়া সংগঠক ও ইয়াং স্টার ফুটবল একাডেমির পরিচালক সৈয়দ বারিক আনজাম বারকি বলেন, করোনার কারণে খেলাধুলা ছেড়ে মাঠের ছেলেরা আজ ঘরে উঠেছে। যে কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তারা যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। তা ছাড়া ঘুড়ি বা ঘুড়ি উৎসব বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বড় অংশ। এর মাধ্যমে তারা সেটাকে উপস্থাপন করে মানুষের মনে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।