‘মাছে-ভাতে বাঙালি’ প্রবাদের কথা কম-বেশি আমরা সবাই জানি। সঙ্গে এও জানি, মাছ ধরার রয়েছে বিভিন্ন পদ্ধতি। কেউ ব্যবহার করে জাল, কেউ বড়শি, আবার কেউবা পলো। তবে প্রথাগত এসব পদ্ধতির বাইরেও রয়েছে অন্য গল্প। মাছ ধরতে এখন রীতিমতো পরতে হচ্ছে হেলমেট, তাও আবার বাংলাদেশেই।
রাজশাহীর দুর্গাপুরে প্রায় ৭০০ বিঘা জমির ওপর ২৫০টির মতো পুকুর নিয়ে খামার গড়ে তুলেছেন মৎস্যচাষী গোলাম সাকলাইন। তার খামার থেকে প্রতিদিন রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছ পৌঁছে যাচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের বিভিন্ন জায়গায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সাকলাইনের খামারের জেলেরা কোমর পানিতে নেমে বিশাল বিশাল মাছ ধরছেন। প্রত্যেকের মাথায় থাকে মোটরসাইকেলের শক্তপোক্ত হেলমেট, আর গায়ে কমলা রঙের সেফটি জ্যাকেট।
‘মাছ ধরতে এমন ব্যবস্থা কেন’ জানতে চাইলে গোলাম সাকলাইন গণমাধ্যমকে বলেন, এখানকার পুকুরের একেকটা মাছের ওজন হয় প্রায় ১২ থেকে ১৩ কেজি। জালে যখন ধরা পড়ে তখন মাছগুলো লাফঝাঁপ দেয়। মাছের ঝাপটায় যেকোনো সময় দুর্ঘটনার ঘটার সম্ভাবনা থাকে। সে কারণে কর্মীদের এমন অনাকাঙ্ক্ষিত আঘাত থেকে বাঁচাতেই এই ব্যবস্থা নিয়েছি।
প্রসঙ্গত, প্রথমে মাত্র একটি পুকুর দিয়ে শুরু করেছিলেন গোলাম সাকলাইন। নিরলস প্রচেষ্টায় আজ তিনি সফল মৎস্য খামারী। তার সাফল্য দেখে অনেকেই এখন এই ব্যবসায় আসছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।