বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমে গ্লুস্টাশায়ারের কাছেই ১৮ কোটি ৩০ লাখ বছর আগের জীবাশ্মের এক ভাণ্ডার আবিষ্কার হয়েছে। ইংল্যান্ডের ওই খামারে মাটির নিচে পাওয়া গেছে মাছের জীবাশ্ম। আরও পাওয়া গেছে জায়ান্ট নৌ সরীসৃপ ইচতওসরস, স্কুইড, কীটপতঙ্গ এবং অন্য প্রাচীন প্রাণির জীবাশ্ম। বলা হচ্ছে, এসবই যেন জুরাসিক যুগের। এ খবর দিয়েছে অনলাইন লাইভ সায়েন্স।
এতে বলা হয়, এর মধ্যে দৃষ্টি কেড়েছে একটি মাছের জীবাশ্ম। তা থ্রি-ডি বা ত্রিমাত্রিক। জুরাসিক যুগের (২০ কোটি ১৩ লাখ বছর থেকে ১৪ কোটি ৫০ লাখ বছর আগে) এই মাছটি পরিচিত প্যাচিকোরমাস নামে। বৃটেনের ওই ফার্মে পাওয়া গেছে কমপক্ষে ১৮০টি জীবাশ্ম বা ফসিল। এর মধ্যে ওই মাছটি অন্যতম।
এটা হলো রশ্মি-পাখাযুক্ত মাছের একটি বিলুপ্ত প্রজাতি।
এর আগে ওই খামারের ওপর দিয়ে গবাদিপশু চড়তো। কিন্তু এর মাটির নিচে এত সম্পদ লুকানো আছে কে জানতো! সেখানেই গবেষকরা খুঁজে পেয়েছেন এত বিশাল ভাণ্ডার। এর মধ্যে যেসব জীবাশ্ম আছে তা খুবই সুরক্ষিত এবং এর টিস্যুগুলো কোমল। ওই মাছটির থ্রিডি প্রকৃতির যে মাথার জীবাশ্ম ও দেহ আবিষ্কার হয়েছে, গবেষকরা এর আগে এমনটা আর কখনো পাননি বলে মনে করছেন।
এই স্থানে জীবাশ্মের সন্ধান পান ইউনিভার্সিটি অব বার্মিংহামের ফিল্ড জিওলজিস্ট নেভিলে হলিংওয়ার্থ ও তার স্ত্রী স্যালি। স্যালি নিজে একজন জীবাশ্ম প্রস্তুতকারক এবং খননে সমন্বয়ক। নেভিলে হলিংওয়ার্থ বলেন, এ পর্যন্ত আমরা এর কাছাকাছি যে জীবাশ্ম পেয়েছি তা হলো বিগ মাউথ বিলি ব্যাস। কিন্তু প্যাচিকোরমাস মাছটির চক্ষুগোলক এবং তাকে যে অংশ ধরে রেখেছে, তা সুরক্ষিত। সাধারণত ফসিল সমতলে শোয়ানো অবস্থায় থাকে।
কিন্তু এক্ষেত্রে এই ফসিল কমপক্ষে একটি ডাইমেনশন বা মাত্রার বেশিতে সংরক্ষিত। দেখে মনে হচ্ছে মাছটি পাথরের ভিতর থেকে লাফিয়ে বের হচ্ছে। স্যালি হলিংওয়ার্থ বলেন, এর আগে আমি এমনটা কখনো দেখিনি। আপনি এর গায়ে আঁশ, ত্বক এবং মেরুদণ্ড দেখতে পাবেন। আর চক্ষুগোলকতো আছেই।
চাঁদের বালি দিয়েই তৈরি হবে ইট? সেটা দিয়ে উপগ্রহে রাস্তা! চলছে গবেষণা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।