জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর কেরানীগঞ্জ কেন্দীয় কারাগারে জল্লাদ শাহজাহানের নেতৃত্বে রাত ১২টা ১ মিনিটে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের অন্যতম খুনি আবদুল মাজেদের ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে। ফাঁসির সময় ফিলিপাইন থেকে আনা ফাঁসির রশিতে পিচ্ছিল জাতীয় পদার্থ ব্যবহার করা হয়েছে। যেহেতু এই কারাগারে এর আগে কোনো ফাঁসি কার্যকর করা হয়নি সেহেতু কয়েক দফায় ট্রায়াল দেওয়া হয়েছে। ১০ সদস্যের জল্লাদ টিমের কার কী দায়িত্ব তা মহড়ার মাধ্যমে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত ৫ জনের ফাঁসির দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় পর বঙ্গবন্ধুর আরেক আত্মস্বীকৃত খুনি বহিস্কৃত ক্যাপ্টেন মাজেদের ফাঁসি শনিবার দিবাগত রাত ১২ টা ১ মিনিটে ফাঁসি কার্যকর হলো। জল্লাদ শাহজাহানের নেতৃত্বে এই ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এর আগে স্বজনরা আবদুল মাজেদের সাথে শেষ দেখা করেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি বরখাস্তকৃত ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ ২৫ বছর ধরে ভারতে পালিয়ে ছিলেন, করোনাভাইরাস আতঙ্কে সেখান থেকে গত ২৬ মার্চ ময়মনসিংহ সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের পর ৬ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। আবদুল মাজেদ গ্রেফতার হওয়ার পর এখনো পলাতক পাঁচজন। এদের মধ্যে রাশেদ চৌধুরী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, মোসলেম উদ্দিন ভারত ও জার্মানি হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, নূর চৌধুরী কানাডায় অবস্থান করছে বলে তথ্য রয়েছে সরকারের কাছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।