আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মাঝ আকাশে বিমানে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক যাত্রী। সে সময় তার চিকিৎসায় তাৎক্ষণিকভাবে এগিয়ে আসেন ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভাগবত কারাড। ভাগবত কারাদ দিল্লি থেকে মুম্বইয়ের উদ্দেশ্যে ইন্ডিগো ফ্লাইট 6E 171 তে ভ্রমণ করছিলেন। টেক-অফের প্রায় এক ঘণ্টা পর একজন যাত্রী অস্বস্তির অভিযোগ করতে শুরু করেন।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) ইন্ডিগোর একটি ফ্লাইটে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ইন্ডিগোর টুইট শেয়ার করে সহকর্মী ভাগবতের প্রশংসা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
পেশায় চিকিৎসক ভাগবত সামলান দেশটির কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব। তিনি মহারাষ্ট্র থেকে রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছেন। মঙ্গলবার তিনি দিল্লি থেকে মুম্বাই যাচ্ছিলেন। মাঝপথে বিমানের এক যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসা করেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিছু প্রাথমিক চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করেন। এর পাশাপাশি বিমানের এমার্জেন্সি কিট থেকে নিয়ে একটি ইনজেকশনও দেন।
ঘটনার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে প্রকাশ করেছে বিমান সংস্থা ইন্ডিগো। ছবিতে দেখা যায়, বিমানের আসনে শুয়ে আছেন অসুস্থ যাত্রী এবং ভাগবত তাকে পরীক্ষা করছেন। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তির রক্তচাপ কমে গিয়েছিল। খুব ঘামছিলেন। এখন ঠিক আছেন।’ মন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী গ্লুকোজ খাওয়ানোর পরেই সুস্থ হন বিমানের ওই যাত্রী।
এদিকে ইন্ডিগোর টুইট শেয়ার করে মোদী লিখেন, ‘হৃদয়ে তিনি সর্বদা চিকিৎসক। দারুণ কাজ আমার সহকর্মীর।’
অসু্স্থ যাত্রীর বয়স চল্লিশেরও কম বলে জানা গিয়েছে। আপাতত তিনি কিছুটা কম কষ্ট বোধ করছেন। মঙ্গলবার ভোর ৩টে ২০ নাগাদ ফ্লাইটটি মুম্বইয়ে অবতরণ করে। এরপর তাঁকে আরও চিকিৎসার জন্য নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মাঝ উড়ানে তাঁর চিকিত্সা করার জন্য ডঃ ভাগবত কারাদকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
এই ঘটনার পরবর্তীতে এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে ট্যুইট করে লেখা হয়, ‘আপনার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে সর্বদা সচেতন থাকার জন্য, আপমরা আন্তরিকভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর প্রশংসা করছি। একজন সহযাত্রীকে যেভাবে ডাঃ ভাগবত কারাদ সাহায্য করলেন, তাতে করে আপনার স্বেচ্ছাসেবী সহায়তা বেশ অনুপ্রেরণাদায়ক’।
এই ঘটনার বিষয়ে নিজেও স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন ডাঃ ভাগবত কারাদ। তিনি লেখেন, ‘বিমানে থাকা এক যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি প্রচুর ঘামছিলেন, এমনকি তাঁর লো প্রেসারও ছিল। সঙ্গে সঙ্গেই আমি তাঁর জামা কাপড় খুলে ফেলে তাঁর পা তুলে ধরেছিলাম। সেইসঙ্গে তাঁর বুক ঘষতে শুরু করি। তারপর তাঁকে গ্লুকোজ দেওয়ার প্রায় ৩০ মিনিট পর তিনি সুস্থ বোধ করেন’।
সূত্র: এএনআই, আনন্দবাজার
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।