লুকা মডরিচ সম্ভবত ক্রোয়েশিয়ার জার্সিতে তার শেষ ম্যাচ আজকে খেলতে মাঠে নামবেন। কাতার বিশ্বকাপই হয়তো তার শেষ বিশ্বকাপ। ক্লাব এবং জাতীয় দলের হয়ে তিনি যত বছর মাঠে ছিলেন তার স্কিল ও বৈচিত্রতা সবাইকে মুগ্ধ করেছে।
লুকা মডরিচের যখন জন্ম হয়েছিল তখন ক্রোয়েশিয়া নামে কোন স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন সম্ভব হয়নি। তখন ক্রোয়েশিয়া নামে কোন দেশ না থাকলেও তিনি বর্তমান ওই ভূখন্ডে জন্মেছিলেন।
তার বয়স যখন ছয় থেকে সাত হবে তিনি তখন যুদ্ধ ও সংগ্রামের দৃশ্য দেখেছেন। কেননা যুগোশ্লাভিয়া থেকে ক্রোয়েশিয়া স্বাধীন হওয়ার জন্য যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। এটিকে ক্রোয়েশিয়ার স্বাধীনতা যুদ্ধ বলা হয়।
মডরিচ তাই জানেন মুক্তি ও স্বাধীনতার আনন্দ কতটুকু হতে পারে। তার সবথেকে কাছের মানুষ ছিল তার দাদা। তার দাদা দাদি মডরিচকে আদর করে ডাকত ‘লুকিতা’ নামে।
ক্রোয়েশিয়ার যে গ্রামে মডরিচ থাকতেন সেখানে একটি ছোট্ট বাড়ি ছিল। সেখানে মডরিচ তার পরিবার নিয়ে থাকতেন। ওই বাড়িটির অস্তিত্ব এখনো রয়েছে। ক্রোয়েশিয়ার সমর্থকদের অনেকেই সেখানে যান এবং ওই বাড়ির সামনে গিয়ে ছবি তোলেন।
ক্রোয়েশিয়ার ওই গ্রামে মডরিচ ছোটবেলায় মেষ চড়াতেন। ছোটবেলা থেকেই লুকা মডরিচ ফুটবলকে ভালবাসত। লুকা মডরিচ যখন স্কুলে পড়তেন তখন একটা রচনা প্রতিযোগিতা হয়েছিল।
লুকা নিজের জীবনের এবং নিজের দাদা সম্পর্কে অনেক কথা ওই রচনায় লিখেছিলেন। যেমন যুদ্ধের সময় সার্বিয়ানরা তার দাদাকে হত্যা করেছিল। এ গল্প তিনি কখনো কাউকে বলেননি।
তবে রাশিয়া বিশ্বকাপের সময় ওই টিচার গল্পের কথা জানালে মডরিচ বিস্তারিত বলতে বাধ্য হন। মডরিচ একটা সময় শরনার্থী হিসেবে জীবনযাপন করেছিলেন।
কাজেই ফুটবলের পেনাল্টি শুট-আউট বা চাপ যত কঠিন সময় আসুক না কেন তিনি শান্ত হয়ে তা মোকাবেলা করতে জানেন। তিনি জীবনের ভয়াবহ রূপ দেখেছেন। সত্যিকার অর্থে যিনি ফুটবলকে ভালবাসেন তিনি অবশ্যই মাঝ মাঠে মডরিচ এর খেলা অনেক উপভোগ করবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।