জুমবাংলা ডেস্ক : ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলায় স্কুলশিক্ষক কেশব চন্দ্র বর্মনের বাড়ি থেকে ১৪৩টি প্রাচীন মুদ্রা উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নের রাজারামপুর গ্রামে ওই শিক্ষকের বাড়ি থেকে মুদ্রাগুলো উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চিত্ত রঞ্জন রায়। তিনি জানান, কেশব চন্দ্র বর্মন পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে ওসি চিত্ত রঞ্জন রায় বলেন, ‘স্কুলশিক্ষক কেশব চন্দ্র বর্মনের বাড়ির ভেতরে বাথরুমের স্লাব বসানোর জন্য মাটি খনন করছিল কয়েকজন শ্রমিক। মাটি খননের একপর্যায়ে ঢাকনাযুক্ত একটি পিতলের কলস দেখতে পায় শ্রমিকরা। এ সময় শ্রমিক মহেন্দ্র চন্দ্র বর্মন ওই কলসটি খুলে তার ভেতর মুদ্রা দেখতে পান। পরে মুদ্রা ও পিতলের কলসটি স্কুলশিক্ষক কেশব চন্দ্র বর্মনের কাছে হস্তান্তর করেন শ্রমিকরা।’
শ্রমিক মহেন্দ্র চন্দ্র বর্মন বলেন, ‘মাটি খননের কাজ করার সময় ঢাকনাযুক্ত পিতলের একটি কলসটি পাওয়া যায়। কলসটির ভেতরে অনেকগুলো প্রাচীন মুদ্রা ছিল। পরে সেটি স্কুলশিক্ষকের কাছে দেওয়া হয়। কলসটির ওজন ছিল কমপক্ষে তিন থেকে চার কেজি।’
পরে স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার রাতে রুহিয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে স্কুলশিক্ষক কেশব চন্দ্র বর্মনের বাড়ি থেকে একটি পিতলের কলস ও ১৪৩টি প্রাচীন মুদ্রা উদ্ধার করে। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য স্কুলশিক্ষক কেশব চন্দ্র বর্মনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
ওসি চিত্ত রঞ্জন রায় বলেন, ‘মনে হচ্ছে মুদ্রাগুলো দস্তা, ধাতব ও রুপামিশ্রিত। মুদ্রার উভয় পিঠে ফারসি, ইংরেজি ভাষা লেখা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো মোগল বা সুলতানি আমলের মুদ্রা। উদ্ধারকৃত প্রাচীন মুদ্রাগুলো ট্রেজারারের মাধ্যমে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের হস্তান্তর করা হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।