জুমবাংলা ডেস্ক : মাটি থেকে প্রায় তিন হাজার ফুট নিচে চলছে ইফতার গ্রহণ। কসোভোর ট্রেপকা খনির শ্রমিকেরা সময় হলে মাটির নিচের অফিসেই সেরে ফেলেন ইফতার। সূর্য ওঠা কিংবা অস্ত যাওয়ার সময় বুঝতে না পারায়, ঘড়ি দেখেই নির্ধারণ করেন ইফতারের সময়।
বুধবার (২০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ কসোভো। প্রায় চার হাজার ফুট গভীরে অবস্থিত উত্তর কসোভোর ট্রেপকা খনিতে কখন সূর্য ওঠে বা অস্ত যায়, তা দেখতে পারেন না সেখানে থাকা কর্মীরা। একমাত্র ঘড়িই সেখানে শেষ ভরসা। তাই ইফতারের সময় হলে ঘড়ি দেখেই ইফতার সারেন খনির শ্রমিকেরা।
এ খনি থেকে উত্তোলন করা হয় মূলত সীসা, দস্তা ও রূপা। বর্তমানে সেখানে কর্মরত আছেন প্রায় তিন হাজার শ্রমিক। ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও খনিতে নির্বিঘ্নে কাজ করে যাচ্ছেন তারা।
শ্রমিকরা বলছেন, যখন খনিতে প্রবেশ করে একদম গভীরে চলে আসি, তখন অনুভূতিটা অন্যরকম হয়। সবকিছু আল্লাহ’র ওপর ছেড়ে দেই। এখানে যারা আছেন তারা আমার আপনজন, কারণ আমরা একে অপরকে সাহায্য করি।
খনিটি চালু করা হয় ১৯২০ সালে। দেশটির বড় খনিগুলোর মধ্যে অন্যতম এই ট্রেপকা খনি। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এই খনি কসোভোর অর্থনীতিতেও রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
সূত্র: রয়টার্স, এমএসএন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।