জুমবাংলা ডেস্ক : ভারতের আলোচিত সিনেমা ‘পুষ্পা’ ও সামাজিত যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া গান ‘কাঁচা বাদাম’ নামের প্যান্ট ঢাকার বিভিন্ন মার্কেটে ঈদবাজার মাতিয়েছে।
রামপুরা ও বাড্ডার বিভিন্ন মার্কেটে এই প্যান্ট বিক্রি হতে দেখা যায়। তবে নিম্নমানের এসব প্যান্টের ক্রেতা মূলত নিম্নবিত্ত শ্রেণির তরুণরা।
প্যান্টে দেখা গেছে আল্লু অর্জুনের ছবির ছাপ। আবার কোনো কোনো প্যান্টে ‘পুষ্পা’ লেখা। শুধু পুষ্পা নয়, কাঁচা বাদাম প্যান্টও মিলেছে এসব দোকানে। এ প্যান্টে প্লাস্টিকের কাঁচা বাদাম ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রয়েছে কেজিএফ ও আরআরআর নামের প্যান্টও।
বিক্রেতারা বলছেন, প্রতি বছর ভারতীয় জনপ্রিয় সিনেমার নামে পোশাক আসে দেশের মার্কেটে। এ বছরও ব্যতিক্রম হয়নি। কয়েকদিন আগে এসব প্যান্ট এসেছে ঈদের হট আইটেম হিসেবে। তবে এসব প্যান্টের দাম ও মান কম।
বাড্ডার হাজী মার্কেটে এসবি কালেকশনের স্বত্বাধিকারী মনিরুজ্জামান বলেন, হঠাৎ এসব প্যান্ট এসেছে। ছেলেরাও বেশ ঝুঁকেছে। অনেকে এসে খোঁজ করছে পুষ্পা প্যান্ট আছে কিনা। সেজন্য রেখেছি।
তিনি বলেন, তবে এসবের কোয়ালিটি খুব একটা ভালো নয়। দামও ৫০০ টাকার মধ্যে। যে প্যান্টে পুষ্পা লেখা, সেটা ‘পুষ্পা প্যান্ট’। আবার কোনটিতে বাদাম লাগিয়ে করা হয়েছে ‘কাঁচা বাদাম’ প্যান্ট। আবার ফিতা লাগিয়ে ‘কেজিএফ’ নামে বিক্রি হচ্ছে।
তালতলা মার্কেটের বিক্রেতা সফিউল বলেন, আসলে এসব পোশাক নামে চলে। বিক্রেতারা যে নাম দেয় সেটায় হয় পোশাকের নাম। ক্রেতা চাইলে এগুলো দেওয়া হয়। বিশেষত কোনো পার্থক্য নেই।
এছাড়া পুষ্পা নামের প্যান্টের পাশাপাশি ট্রাউজার ও ট্রাকসুট বিক্রি হতে দেখা গেছে। সেগুলোতে ছাপানো কালিতে পুষ্পা, আবার কোথাও পুষ্পা রাজ লেখা। কিছু পোশাকে আবার আল্লু আর্জুনের ছবিও রয়েছে।
বাড্ডার সুবাস্তু শপিং কমপ্লেক্সেও মিলছে এসব পোশাক। সেখানে কিছু টি-শার্টও পুষ্পার নামে বিক্রি হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে এসব পোশাকের নির্দিষ্ট কোনো নাম নেই। বিক্রেতারা ক্রেতা আকর্ষণ বাড়াতে এসব নাম ব্যবহার করেন।
জিসান ফ্যাশনে রফিকুল আলম বলেন, যখন যেটা ভাইরাল হয়, পোশাকও সে নামে আসে। এসব ব্যবসায়ীদের পলিসি। প্রকৃতপক্ষে এমন নামে কোনো পোশাক হয় না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।