জুমবাংলা ডেস্ক : জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর এমন একটি গেটওয়ে যা বাংলাদেশের মাধ্যমেধ্যমে নেপাল, ভুটানের মতো ল্যান্ডলক রাষ্ট্রগুলোর সাথে সংযোগ রক্ষাকে সহজতর করবে।
তিনি বলেন, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক নীতিগত সিদ্ধান্ত।
স্পিকার আজ জাতীয় সংসদ ভবনস্থ পার্লামেন্ট এলডি হলে জাপানের সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশনের ওশান পলিসি রিসার্চ ইউনিট কর্তৃক আয়োজিত ‘বাংলাদেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর: মাতারবাড়ী দ্বারা বঙ্গোপসাগরে নতুন দৃশ্যের সূচনা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ইন্টারপ্রাইজ ইন্সটিটিউটের প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় কর্মশালার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওশান পলিসি পিস ফাউন্ডেশনের রিসার্চ ফেলো ইমাদুল ইসলাম এবং গবেষক কামরান রেজা চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম, জাপানের সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশনের ওশান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট ড. হাইডে সাকাগুচি, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি ইওয়ামা এবং জাইকা বাংলাদেশের চীফ রিপ্রেজেনটেটিভ তমোহিডে ইচিগুছি কর্মশালায় বক্তব্য প্রদান করেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ প্বার্শবর্তী বিভিন্ন রাষ্ট্রের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে। এই সমুদ্র বন্দর জলপথের মাধ্যমে বিভিন্ন রাষ্ট্রের সাথে যোগাযোগ সহজতর করার পাশাপাশি ব্যবসায়ীক প্রতিযোগিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
স্পিকার বলেন, এই সমুদ্রবন্দর দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের নিকট বঙ্গোপসাগরের গুরুত্ব তুলে ধরবে। তিনি বলেন, মহাসাগরকে ব্যবহারের পাশাপাশি এর টেকসই উন্নয়নের দিকেও মনোযোগী হতে হবে।
এসময় তিনি এধরনের কর্মশালা আয়োজনের জন্য জাপানের ওশান পলিসি রিসার্স ইন্সটিটিউটকে ধন্যবাদ জানান।
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম, চট্রগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, রিসার্চ ফেলো, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং গণমাধ্যম কর্মীরা কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।