ব্রিটিশ জনপ্রিয় ট্যাবলেট পত্রিকা দ্য মিরর অ্যাঞ্জি নামক এক নারীর গল্প পাবলিশ করেছে যিনি ১৯ বছর বয়সে সাতবার গর্ভধারণ করেছেন। অ্যাঞ্জি মনে করেন যে, আমি এ বিষয়টি নিয়ে মোটেও লজ্জিত নই বরং বেশ কৃতজ্ঞ। তবে সমাজের অনেকেই এমন ভাবে কথা বলেন যা আমাকে বিব্রত করে।
অ্যাঞ্জি যখন প্রথম গর্ভবতী হয়েছিলেন তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর। তার বর্তমান স্বামী জর্ডন তখন থেকেই তার সঙ্গে ছিলেন। তিনি জানান যে, মানুষ তাকে নিয়ে অনেক বাজে মন্তব্য করে। অনেক খারাপ ব্যবহারের শিকার হয়েছেন তিনি।
অনলাইনে অনেকেই তাকে নিয়ে ট্রল করেছে। এই দম্পতির তিন সন্তানও রয়েছে। আরো এক সন্তান দুনিয়াতে আসতে চলেছে। আশেপাশের মানুষ ১৫ বছর বয়সে সন্তান হওয়ার সিদ্ধান্তকে ভালোভাবে নেয়নি।
অ্যাঞ্জি সবার মতামতকে প্রত্যাখ্যান করেন এবং তার সন্তানকে দুনিয়াতে নিয়ে আসেন। তার বড় মেয়ের নাম নেভা যার বর্তমান বয়স চার বছর। অ্যাঞ্জির বর্তমান বয়স ২১ বছর। তার বয়স যখন ১৬ ছিল তখন বর্তমান স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দেয়ার পরের বছর হাডসন নামের একটি ছেলে হয়। দুঃখজনক হলেও সত্য যে অ্যাঞ্জি বড় পরিবার নিয়ে সুখী হওয়ার চেষ্টা করেও পারছেন না। এ বিষয়টি নিয়ে তিনি যথেষ্ট সংগ্রাম করেছেন।
পাঁচবার গর্ভপাতের শিকার হতে হয়েছে তাকে। অ্যাঞ্জি দাবি করেন যে, তিনি তার জীবনের সেরা সময় উপভোগ করতে চান। শুরুর দিকে তিনি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অবলম্বন করেন। কিন্তু এটি কেন কাজ করেনি সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত না।
কয়েক মাস পরে বুঝতে পারেন যে, তিনি গর্ভধারণ করেছেন। তার বন্ধুবান্ধব এবং পরিবার যখন বিষয়টি জানতে পারে তখন মিশ্র প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হয়েছিলেন। তিনি অনেক রাগ এবং হতাশার মধ্য দিয়ে গিয়েছিলেন।
অ্যাঞ্জি বলেন যে, এক এক জন ভিন্ন ভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছিল। অধিকাংশ লোকেই হতভম্ব হয়ে গিয়েছিল। তিনি যখন গর্ভধারণ করেন তখন স্কুলের অনেকের সাথে তার পরিচয় ছিল। এখন কারো সাথেই তেমন সম্পর্ক নেই। তিনি অনেক চাপের মধ্যে থেকেই আজকের দিন পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।