
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: টিউনিশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হিশেম মেচিচি বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট সমাধানকে প্রাধান্য দিয়ে নতুন মন্ত্রিসভার ঘোষণা দিয়েছেন৷ পার্লামেন্ট সদস্যদের অনুমোদনের পর তা চূড়ান্ত হবে৷ খবর ডয়চে ভেলে’র।
মাত্র ছয় মাসের ব্যবধানে টিউনিশিয়ায় দ্বিতীয়বার সরকার গঠন হতে যাচ্ছে৷ তবে এতে মোটেও খুশি হয়নি জোটের শরিক দল এন্নাহদা৷ নতুন সরকারে তারা মূলত পরোক্ষ ভূমিকাতেই থাকছে৷
মঙ্গলবার টিউনিশিয়ার দ্বিতীয় সরকার গঠনের ঘোষণা আসে৷
তবে নতুন এই মন্ত্রিসভাকে পার্লামেন্ট সদস্যদের আস্থা ভোটে জয়ী হতে হবে৷ মেচিচি এর আগে বলেছিলেন, তিনি এমন একটি প্রশাসন গঠন করছেন, যার কর্মকর্তারা বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ এবং করোনায় ধসে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে যারা অবিলম্বে সমাধান দেবেন৷ এই মন্ত্রিসভা অনুমোদন না পেলে নতুন করে নির্বাচন দিতে হবে৷ মেচিচির সরকার গঠনের সিদ্ধান্তে এন্নাহদা খুশি না হলেও এখনই আবার নির্বাচন তারাও চাইছে না৷
মেচিচি এমন একটি সরকার গঠন করেছেন, যেখানে আগের বেশিরভাগ মন্ত্রীকেই রাখা হয়নি৷ গত মাসে টিউনিশিয়ার প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের পর প্রেসিডেন্ট কাইস সাঈদ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সরকার প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন৷ এর আগে, ১৬ জুলাই রাজনৈতিক বিতর্কের জেরে পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী এলিস ফখফখ৷ তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলো প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল এন্নাহদা৷
২০১৯ সালের অক্টোবরের সাধারণ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয় ইসলামপন্থি রাজনৈতিক দল এন্নাহদা৷ তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় চার মাস অচলাবস্থার পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে জোট সরকার গঠন হয় টিউনিশিয়ায়৷ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান সাবেক অর্থমন্ত্রী এলিস ফখফখ৷ গত এক বছরের মধ্যে মেচিচি হলেন দেশটির তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী৷
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।