জুমবাংলা ডেস্ক : বাগেরহাটের শরণখোলায় দশম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে অপহরণের পর ১৮ দিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুরে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ থানা হেফাজতে নিয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার শরণখোলা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের ওই ছাত্রীর বাবা জানান, পার্শ্ববর্তী মালিয়া-রাজাপুর গ্রামের হানিফ হাওলাদারের ছেলে রাকিব (২৮) ও মোজাম্মেল ভুঁইয়ার ছেলে মুন্না (২৮) বিভিন্ন সময় তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত। গত ২২ মে বেলা ১১টায় তার মেয়ে ব্যক্তিগত কাজে বাড়ির বাইরে প্রধান সড়কে যায়। এ সময় মোটরসাইকেলসহ বন্ধুদের নিয়ে ওঁৎ পেতে থাকা রাকিব ও মুন্না তার মেয়েকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। সেই থেকে শরণখোলা থানায় মৌখিভাবে জানিয়ে মেয়েকে খুঁজতে থাকেন। গত বুধবার অপহরণকারীরা তার মেয়েকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পথে খবর পেয়ে পুলিশ উপজেলার পাঁচ রাস্তা এলাকা থেকে উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে শরণখোলা থানার ওসি এসকে আব্দুল্লাহ আল সাইদ জানান, উদ্ধার করে মেয়েটিকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তার পিতা বাদী হয়ে রাকিব ও মুন্নাসহ পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালছে।
শনিবার মেয়েটিকে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বাগেরহাটে পাঠানো হবে।
ছাত্রীর বরাত দিয়ে ওসি আরও জানান, অপহরণের পর মুন্নার বাড়ির দোতালায় নিয়ে তাকে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে রাকিব। এ সময় রাকিবকে সহযোগিতা করত মুন্নার মা খাদিজা বেগম ও তার ভাই খোকন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।