মহাবিশ্বের মাঝে একটি গ্রহ পৃথিবী। সেখানেই বসবাস সবার। তবে এই পৃথিবীই কিন্তু শেষ নয়। এই পৃথিবী ছাড়াও মহাবিশ্বে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে আরো কয়েক হাজার পৃথিবী। অবাক হলেও এমনটাই সত্যি বলে জানিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। তবে এ ক্ষেত্রে আরও কোনো গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে আমাদের সৌরজগতের আশেপাশে রয়েছে অনেক এক্সো প্লানেট বা বহি:গ্রহ। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে, এ ধরনের বহিঃগ্রহের সংখ্যা হবে পাঁচ হাজারের মতো। সৌরজগতের বাহিরে কোন নতুন গ্রহ আবিষ্কৃত হলে তার নাসার আর্কাইভে সংরক্ষণ করা হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে আরো ৬৫ টি বহিঃগ্রহ আবিস্কার করা হয়েছে। এ নিয়ে নার্সার আর্কাইভে আরো পাঁচ হাজার বহি:গ্রহের তথ্য জমা হলো। মহাকাশ গবেষণা সংস্থা হিসেবে এটি নাসার জন্য একটি মাইলফলক। ১৯৯০ সালে প্রথম বহিঃগ্রহ আবিষ্কার করা হয়েছিল।
এদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে এবং সমৃদ্ধ হচ্ছে। এটি কেবল একটি সংখ্যা নয় বরং আলাদা পৃথিবী হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। সভ্যতার কাছে যেন রহস্য। সেখানে কি আছে এবং তার পরিবেশ কেমন তা সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায় না।
আবিষ্কার হওয়া নতুন গ্রহের বৈশিষ্ট্যে বড় চমক পাওয়া যায়। কেননা এ সকল বৈশিষ্ট্য সৌরজগতের গ্রহের সাথে মিল পাওয়া যায় না। বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায় যা পৃথিবীর মতো শিলাযুক্ত। এমন অনেক বহিঃগ্রহ রয়েছে যা পৃথিবীর থেকে সাইজে অনেক বড় যাকে সুপার আর্থ বলা যেতে পারে। কোন কোন বহিঃগ্রহকে মিনি নেপচুন বলা হচ্ছে। এ সকল বহি:গ্রহ নিয়ে গবেষণা করে নাসা চমকপ্রদ তথ্য বের করবে এমনটি আশা সবার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।