ভারতের নামী তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী অশোক সেন। পদার্থবিজ্ঞানী ও স্ট্রিংতত্ত্ববিদ হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত। পেয়েছেন পদার্থবিজ্ঞানের অন্যতম সেরা পুরস্কার ‘ফান্ডামেন্টাল ফিজিকস পুরস্কার’। ভারত সরকারের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মভূষণে ভূষিত এই বাঙালি বিজ্ঞানী রয়্যাল সোসাইটির সদস্য। এ ছাড়া ২০১৪ সালে অত্যন্ত সম্মানিত ডিরাক মেডেলও পান এই তাত্ত্বিক পদার্থবিদ।
তিনি বলেন, বিজ্ঞানী হতে গেলে আগ্রহ থাকা চাই। কারও যদি আগ্রহই না থাকে, তাহলে এ পথে আসা উচিত নয়। মনে রাখতে হবে, বিজ্ঞানে সমস্যা কখনো একই ধারায় চলে না। দেখা যায় বহু চেষ্টা করেও অনেক সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে না। কোনো কোনো পরীক্ষা বাস্তবে অসম্ভব হয়ে দাঁড়াতে পারে। এখানে বিজ্ঞানীর সবচেয়ে বড় ক্ষমতা হলো মানসিক শক্তি। এমন অবস্থা মোকাবিলা করার জন্য তরুণ বিজ্ঞানীকে মানসিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে। আগ্রহ আর অধ্যবসায় কাজে লাগিয়ে সামনে এগোতে হবে। ব্যর্থ হলেই পথ বদলে নেওয়া চলবে না।
দক্ষিণ এশিয়ার সরকার ও নীতিনির্ধারকদের এগুলো নিয়ে ভাবতে হবে। এটা অসম্ভব কিছু নয়। আবার সব সময় সরকারকেই ভাবতে হবে, এমনও নয়। এখানকার ইনস্টিটিউট ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই উদ্যোগ নিতে পারে। সেখানে শুরুতেই হয়তো সব দেশকে একত্র করা যাবে না। হয়তো দুটো দেশ মিলেই শুরু করতে পারে। চীন, কোরিয়া আর জাপান মিলে যেমন এশিয়ান ফিজিকস স্কুল করে।
একবার শুরু করা গেলে সেটা এগিয়ে নেওয়া খুব বেশি কঠিন কিছু হবে না। ভারতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও বিনিয়োগ করে। সেটা এ দেশেও শুরু হতে পারে। মৌলিক গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত অর্থের জোগানও দিতে হবে। আবার ভালো বেতনের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়া এখানে কাজ করেও যেন দেশের বাইরে তিনি গবেষণার সুযোগ পান, সেদিকেও লক্ষ রাখতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।