সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জের শিবালয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) একটি সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার ও পূর্বের তুলনায় সড়কটি নিচু করে নির্মাণ করা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গাইডওয়াল নির্মাণের কথা থাকলেও তা করা হচ্ছে না। তবে এসব অনিয়ম দেখভালে তদারকি নেই উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহত্তর ঢাকা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-৩ এর আওতায় শিবালয় উপজেলার “মহাদেবপুর-বনগ্রাম সড়ক” নির্মাণের জন্য ট্রেন্ডার আহ্বান করা হয়। ১ কোটি ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৩৯৩ টাকায় ২১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য সড়কটি নির্মাণের দায়িত্ব পায় মেসার্স দেবেশ ট্রেডার্স। ২০১৯-২০ অর্থ বছরের এই সড়ক নির্মাণ কাজ ২০২০ সালের ৪ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাস ও বন্যার কারণে সড়ক নির্মাণ কাজ স্থগিত হয়ে যায়। পরে সময় বৃদ্ধি করে পুনরায় নির্মাণ কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্র জানায়, শিডিউল অনুযায়ী সড়কটি নির্মাণে ৬ ইঞ্চি পরিমাণ খোয়া, এক ইঞ্চি পরিমাণ কার্পেটিং আর ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে মোট ২৪০ মিটার গাইডওয়াল নির্মাণ করার কথা। ২১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে সড়কটি প্রস্থ হবে ১০ ফুট।
শিবালয় উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহীনুজ্জামান জানান, সড়কটি নির্মাণে শুরুতেই নিম্নমানের ইট ও খোয়া ব্যবহার করা হয়। পরে এ বিষয়ে ঠিকাদারকে লিখিত নোটিশ দিলে নিম্নমানের ইট ও খোয়া সরিয়ে নেন ঠিকাদার সুকমল দে দেবেশ।
তবে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কটির বেশিরভাগ অংশে খোয়া (ডব্লিউবিএম) বিছানো হয়েছে। অল্প কিছু অংশে খোয়া ফেলার বাকি রয়েছে। আর ওই অংশের জন্য ইট ভাঙার কাজ করছেন শ্রমিকরা। সড়কে বিছানো খোয়া ও এজিং অত্যন্ত নিম্নমানের। স্থানীয় এলাকাবাসী ও শ্রমিকেরা জানিয়েছেন, সড়কে ব্যবহৃত খোয়ার কোনো নম্বর নেই। সবচেয়ে নিম্নমানের ইট ও খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে সড়কটিতে।
স্থানীয়রা জানান, নিম্নমানের ইট ও খোয়া সরিয়ে নেয়া হবে বলে শুনেছিলাম। কিন্তু পুরো সড়কেই নিম্নমানের ইট ও খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে এসব অনিয়ম তদারকিতে প্রকৌশল দপ্তরের কাউকে দেখা যায়নি। সড়কটি তদারকির দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. রাসেল জানিয়েছেন, দুই সপ্তাহ আগে তিনি একবার সড়ক নির্মাণ কাজ দেখতে গিয়েছিলেন। এরপর দাপ্তরিক প্রশিক্ষণ শুরু হওয়ায় তিনি আর তদারকি করতে পারেননি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহীনুজ্জামান বলেন, সড়কে নিম্নমানের ইট ও খোয়া দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যদি এরকম হয়ে থাকে তাহলে সরেজমিন পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।