বিনোদন ডেস্ক : নিপুণের কর্মকাণ্ডে মানুষ আমাদের নিয়ে হাসছে বলে মন্তব্য করেছে চিত্রনায়ক জায়েদ খান। তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অন্যায় হচ্ছে। আমি শিল্পীদের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি। আমার সহকর্মী কি করছে? একবার গিয়ে এক দিনের জন্য চেয়ার…। এ যেন জমি দখল করার মতো অবস্থা।’
আজ মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে নিপুণ আক্তারের সংবাদ সম্মেলনের প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
জায়েদ খান বলেন, নিপুণ আক্তার যা করছেন সবই গায়ের জোরে। যাদের নিয়ে এত কথা হচ্ছে, সেই হোসেন সাহেব ও সোহান সাহেব কিন্তু তার দুই পাশে বসা ছিলেন। অর্থাৎ, তাদের সবই পূর্বপরিকল্পিত। অন্যদিকে, আমি শিল্পীদের ভোটে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। এতে কোনো ভুল নেই। আমাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণাও করা হলো।
সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হলো। এরপর তারা যা করছে তাতে মানুষের সামনে আমরা হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি। আপিল নিষ্পত্তির পর রায় মেনে নিয়ে তারপর আবার তারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। এর পুরোটাই অবৈধ প্রক্রিয়ায় হচ্ছে, এটা নজিরবিহীন। তা ছাড়া পুরো বিষয়টিই এখন আদালতের বিচারাধীন।
তিনি বলেন, আমি আদালতে ছিলাম। চেম্বার কোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, স্ট্যাটাসকো থাকবে, মানে কেউ যেতে পারবে না সেই চেয়ারে। আজ শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তারা বিষয়টিকে বিলম্বিত করে এখন ঘোষণা করছেন যে, চেয়ারে বসতে পারবেন তিনি। এ যেন জমি দখল করার মতো ঘটনা!
এর আগে আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে নিপুণ অভিযোগ করে বলেন, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আনুমানিক সকাল ৮টার দিকে নিজ বাসা থেকে ফুল কেনার জন্য বনানী সুপার মার্কেটে যাই। সেখানে আমি গাড়ি থেকে দরজা খুললে অজ্ঞাতনামা কয়েকজন লোক সাহায্যের জন্য হাত বাড়ায়। এরপর আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই অজ্ঞাতনামা লোক মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য বলে ওখান থেকে চলে যায়। বর্তমানে আমার একটি মামলা চলছে আদালতে। এই ঘটনায় রাজধানীর বনানী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি আমি।
এদিকে সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসে নিপুণ আক্তার আদালত অবমাননা করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন জায়েদ খানের আইনজীবী। সেই সঙ্গে জায়েদ খান চাইলে আদালত অবমাননার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন।
জায়েদ খানের আইনজীবী আজ বলেছেন, নিপুণ আক্তার যা দাবি করেছেন তা ঠিক নয়। কারণ, চেম্বার জজ সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, শুনানি হওয়া পর্যন্ত উভয়পক্ষকেই স্ট্যাটাসকো রক্ষা করে চলতে হবে। অর্থাৎ, শুনানির আগে সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে কেউ বসবে না। আজ কিন্তু শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অপর পক্ষ আজ আদালতের কাছে এক সপ্তাহ সময় চেয়ে নেয় এই মর্মে যে, আমাদের তথ্যাদির বিপরীতে তাদের প্রস্তুতি নেই। তাই এরপর এসে নিপুণ আক্তার সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসাকে আমরা আদালত অবমাননা হিসেবেই দেখছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।