জুমবাংলা ডেস্ক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমরা এমন একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা চাই, যে রাষ্ট্র হবে মানবিক, বস্তুগত দিক দিয়ে উন্নত হবে। মানুষের আত্মিক উন্নয়ন ঘটাতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিসিজিডিএস) আয়োজনে বুধবার (১৩ মার্চ) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন অডিটোরিয়ামে ‘এমপাওয়ারিং ফিউচার : ইনভেস্ট ইন ওমেন টুওয়ার্ডস স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ.এস.এম. মাকসুদ কামাল। স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেসা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ড. তানিয়া হক। কিনোট পেপার পড়েন বাংলাদেশ অ্যালায়েন্স ফর ওমেন লিডারশিপের সভাপতি নাসিম ফেরদৌস।
আলোচনায় অংশ নেন বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ডিন অধ্যাপক জিয়া রহমান, সম্মানিত অতিথি ইউকে’র বাংলাদেশ হাইকমিশনার সৈয়দা মুনা তাসনিম, প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক ড. নাজমুন্নেছা মাহতাবের সভাপতিত্বে বিবি প্রোডাক্টের প্রতিষ্ঠাতা বিবি রাসেল, ধানসিঁড়ি কমিউনিকেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শমী কায়সার, একশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির, হাইওয়ে পুলিশ ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।
হাছান মাহমুদ বলেন, মানুষের আত্মিক উন্নয়ন ঘটাতে হলে মায়ের আত্মিক উন্নয়ন ঘটাতে হবে। অন্যথায় মানুষের আত্মিক উন্নয়ন সম্ভব হবে না। কারণ একজন মা ঘুম পাড়াতে পাড়াতে, স্কুলে নিয়ে যেতে যেতে যে শিক্ষা দেয়, পরবর্তীকালে তাকে যে শিক্ষাই দেওয়া হোক না কেন ছোটবেলায় মায়ের যে শিক্ষা মনে প্রোথিত হয় তা অন্য শিক্ষাকে ছাপিয়ে যায়। এ জন্য নারীর শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাই নয়, জাতি, নতুন প্রজন্ম, সন্তান গঠন করার জ্ঞান বাড়াতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নারীর জন্য বিনিয়োগ করলে ক্ষমতায়ন হয়, তাহলে সমাজ, রাষ্ট্র উপকৃত হয়। দেশ এগিয়ে যায়। দেশে নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত এবং প্রশংসিত। নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান পৃথিবীতে পঞ্চম। চতুর্থ বিপ্লবের সঙ্গে আমাদের দেশকে সংযুক্ত করতে পেরেছি এর পেছনে রয়েছে নারীর ক্ষমতায়ন। নারীর ক্ষমতায়নের কারণেই আমাদের পক্ষে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, ইউরোপের অনেক দেশ উন্নয়নের পাশাপাশি মানবিকতা হারিয়েছে। সামাজিক মূল্যবোধ হারিয়েছে। মানুষে মানুষে মমত্ববোধ হারিয়ে গেছে। সমাজ বস্তুকেন্দ্রিক হয়ে গেছে। মানুষ আত্মকেন্দ্রিক হয়ে গেছে। আমি বস্তুকেন্দ্রিক সমাজের দিকে যাব নাকি আত্মকেন্দ্রিক প্রজন্ম তৈরি করব সেটা আমাকেই ঠিক করতে হবে। জীবন্নোয়ন ইউরোপে হয়েছে, সেখান থেকে আমারা কিছু নিতে পারি। তবে সবকিছু অনুকরণ করতে পারি না।
ফারাহ কবীর বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমাদের অর্জনগুলো হুমকির মুখে পড়ছে।
সৈয়দা মুনা তাসনিম বলেন, বাংলাদেশে সর্বক্ষেত্রেই নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে৷
ড. বিনায়ক সেন বলেন, ১৬ এর আগে যাদের বিয়ে হয় ২০১১ সালে ৪০ শতাংশ ছিল, ২০২২ সালে ২৭ শতাংশে এসেছে। ১৮ এর নিচে ২০১১ সালে ৬৫ শতাংশ আর ২০২২ এ কমেছে। এর ফলে মাতৃস্বাস্থ্যের ওপর প্রবল প্রভাব পড়েছে।
সেকেন্ড পার্টির মাধ্যমে জিম্মিদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।